Nandigram: বোর্ড গঠনের আগেই গ্রেফতার হতে পারেন, নন্দীগ্রামের জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ

Nandigram: মামলাকারীদের বক্তব্য, নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকের ১৭ টি পঞ্চায়েতের বিজয়ী প্রার্থীরা বোর্ড গঠনে যাতে হাজির থাকতে না পারেন, তার জন্য ইকিমধ্যেই সক্রিয় পুলিশ।

Nandigram: বোর্ড গঠনের আগেই গ্রেফতার হতে পারেন, নন্দীগ্রামের জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ
কলকাতা হাইকোর্ট। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2023 | 1:43 PM

কলকাতা: আবারও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ নন্দীগ্রামের জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা। বুধবার নন্দীগ্রামে বোর্ড গঠন। তার আগে নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকের ১৭টি পঞ্চায়েতের বিজেপির বিজয়ী প্রার্থীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ, যাতে তাঁরা বোর্ড গঠনে থাকতে না পারেন। এই অভিযোগ তুলে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি প্রার্থীরা। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত র এজলাসে শুনানি।

মামলাকারীদের বক্তব্য, নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকের ১৭ টি পঞ্চায়েতের বিজয়ী প্রার্থীরা বোর্ড গঠনে যাতে হাজির থাকতে না পারেন, তার জন্য ইকিমধ্যেই সক্রিয় পুলিশ। অনেককেই পুরনো মামলায় পুলিশ তলব করছে, কোথাও রাজ্যের শাসক দল জয়ী প্রার্থীদের নিজেদের এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছে না। এই অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। মঙ্গলবার এই মামলাটি শুনবেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

এর আগে নন্দীগ্রামে ১৫ জন জয়ী বিজেপি প্রার্থীকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁদের গ্রেফতারির ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ। আদালতের বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, এখনও পর্যন্ত ১৮ টি এফআইআর হয়েছে। যাতে বিজেপি বোর্ড গঠন করতে না পারে, তার জন্য ভুয়ো মামলা দেওয়া হচ্ছে।

তবে সেবারের শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী সওয়াল করেন, বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী রয়েছে। সেসময়ে রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানতে চান, তাঁরা কি সবাই জয়ী প্রার্থী? রাজ্যের আইনজীবী জানান, সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট জানেন না। তাতে বিরক্ত হন বিচারপতি। তিনি বলেন, “এরা বিজেপি করে সেটা জানেন, আর জয়ী প্রার্থী কিনা সেটা জানেন না?” এরপরই তিনি বিজেপি প্রার্থীদের রক্ষাকবচ দেন। এবার বিজেপি ১৭ জন প্রার্থী বোর্ড গঠনের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

এছাড়াও রানাঘাট ১ নম্বর ব্লক, হবিবপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ বিভিন্ন জেলায় একইভাবে বোর্ড গঠনে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, আবার কোথাও নির্দল জয়ী প্রার্থীকে বোর্ড গঠনে অংশ নেওয়া ঠেকাতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় পুলিশি নিরাপত্তায় বোর্ড গঠন, আবার কোথাও বোর্ড গঠনে পর্যাপ্ত পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়ার দাবিতে মামলাও করা হয়। সেই আবেদন গ্রহণ করে আদালত। সোমবার দুপুরে ও মঙ্গলবার যাবতীয় মামলার শুনানির সম্ভাবনা।