Kunal Ghosh: ‘কেওড়াতলা বা নিমতলায় বসে থাকুন’, কানুনগোদের পরামর্শ কুণালের
Kunal Ghosh: প্রাথমিক অনুমান যে তদন্তে পুলিশের দাবি ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছে। পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতারও তেমনটাই বলেছেন।
কলকাতা : কালিয়াগঞ্জে ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। রাজ্যে এসেই পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় পুলিশের গাফিলতির অভিযোগও তুলেছেন তিনি। এবার সেই কমিশনের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রাজ্যে গণতন্ত্র আছে বলেই কমিশনের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারছেন, এমনই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা। কেওড়াতলা ও নিমতলা শ্মশানে শাখা খুলতে পারে বলেও জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। রবিবারই কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটায় মৃত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে কমিশনের প্রতিনিধিরা। সবদিক খতিয়ে দেখে তাঁরা কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেবেন বলে জানিয়েছেন কানুনগো।
কালিয়াগঞ্জে গত শুক্রবার উদ্ধার হয় এক ছাত্রীর বিবস্ত্র দেহ। সেই ঘটনায় ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ তুলে সরব হয় প্রতিবেশীরা। পরিবারের তরফে সিবিআই তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছে। পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতারও তেমনই বলেছেন। কিন্তু জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। কালিয়াগঞ্জে গিয়ে প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলেন, “একটা বাচ্চাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। বাচ্চার মা আমাকে অভিযোগ করেছেন।”
কমিশনকে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আপনারা বারবার যাতায়াত না করে কেওড়াতলা আর নিমতলায় (শ্মশানে) বসে থাকুন। সারাদিনে বহু মৃতদেহ আসে। প্রত্যেকটা মৃতদেহ সম্পর্কে একটা করে বিবৃতি দিন। ডেলি প্যাসেঞ্জারি না করে কেওড়াতলা না নিমতলায় একটা শাখা খুলুন।’ গুজরাট বা উত্তর প্রদেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে কমিশন যায় না কেন? বিলকিসের পরিবারের কাছে যায়নি কেন? সেই প্রশ্নও তুলেছেন কুণাল ঘোষ। কুণালের কথায়, ‘কেন্দ্রের কমিশন, অপদার্থ, দলদাস, অযোগ্য। মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করতে রাজনৈতিক পর্যটক হিসেবে আসে।’
কুণাল ঘোষের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র আছে বলেই কমিশনের প্রতিনিধিরা এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে পারছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিলে এয়ারপোর্ট থেকে বেরতে পারতেন না। গণতন্দ্র আছে বলে বড় বড় কথা। বিজেপির কথায় কমিশন বাংলাকে অপমান করতে আসে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ঘটনার পর দুদিন কেটে গেলেও এখনও থমথমে সাহেবঘাটা। পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।