NHRC: মইদুল-মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ মানবাধিকার কমিশনের

SSK Teacher Moidul Islam: সপ্তাহ খানেক আগে রাত ১১ টা নাগাদ নিউটাউন নর্থ থানা ও বেলেঘাটা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলামের শ্বশুর বাড়িতে যায়।

NHRC: মইদুল-মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ মানবাধিকার কমিশনের
মইদুল ইসলামের অভিযোগ খতিয়ে দেখে আট সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ মানবাধিকার কমিশনের। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2021 | 2:38 PM

কলকাতা: রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কমিশনে নালিশ জানিয়েছিলেন শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম (SSK Teacher Moidul Islam)। আট সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)। মইদুলের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করেছিল কমিশন। এবার ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল।

সপ্তাহ খানেক আগে রাত ১১ টা নাগাদ নিউটাউন নর্থ থানা ও বেলেঘাটা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলামের শ্বশুর বাড়িতে যায়। বেলেঘাটা ৫১/বি/ এইচ চালপট্টি এলাকায় এই ফ্ল্যাট তাঁর শ্বশুরের। বিষপানে শিক্ষিকাদের প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করতে চাইছে বলে অভিযোগ তোলেন মইদুল। এ নিয়ে আদালতেরও দ্বারস্থ হন তিনি। যদিও রাজ্যের বক্তব্য ছিল, গ্রেফতারি নয়, নোটিস দিতে এদিন রাতে পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল।

পাল্টা মইদুল প্রশ্ন তোলেন, “আদালতের যে পর্যবেক্ষণ তাতে আমি খুবই খুশি। আদালতে মাননীয় অ্যাডভোকেট জেনারেল মহাশয় রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। উনি জানিয়েছেন, পুলিশ গ্রেফতার করতে আসেনি। অথচ বাংলার মানুষ দেখেছেন ২০০ পুলিশ নিয়ে কী ভাবে রাত ১১টা থেকে প্রায় চোদ্দ ঘণ্টা পুলিশ দুর্গের মতো কী ভাবে আমার বাড়ি ঘিরে রেখেছে। কী ভাবে লাথি মারছে, দরজা ভাঙার উপক্রম করছে, আমার শ্বশুরকে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। অথচ অ্যাডভোকেট জেনারেল বলছেন, নোটিস দিতে গিয়েছে।” এই জল গড়ায় বহুদূর। রাজনৈতিক রংও লাগতে শুরু করে।

বিষপান কাণ্ডের পর থেকেই মইদুল ইসলামের সঙ্গে একাধিক বার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যোগাযোগ করেছেন বলে দাবি করেন শিক্ষক নেতা। মইদুল ইসলামের কথায়, “যে রাতে এই ঘটনা ঘটে সেই দিন প্রায় সারা রাত আমার সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সকাল থেকে হাইকোর্টে যাওয়া পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।” একইসঙ্গে মইদুল জানান, প্রতিটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ রাজভবনেও জানানো হচ্ছে। শিক্ষক নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, “প্রথম থেকেই যা যা ঘটছে তা রাজভবনে জানানো হচ্ছে। আমরা শনিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে ইমেল করব। শুক্রবার ফোনে কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়েছে।” অন্যদিকে মইদুলের শ্বশুরবাড়িতে যান আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও এই শিক্ষক নেতার পাশে দাঁড়ান।

গত সপ্তাহেই আবার রাজ্যের শিক্ষা সচিবকে চিঠি পাঠান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বঞ্চনার অভিযোগ, বিষপানের ঘটনার উল্লেখ করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি দিয়েছিল শিক্ষকদের সংগঠন। এরপরই আন্দোলন সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের (Health Department) সচিবের কাছে জানতে চান তিনি। গত ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের তরফ থেকে বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল রাজ্যপালকে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই হস্তক্ষেপ করেন জগদীপ ধনখড়।

আরও পড়ুন: Aadhaar Enrolment for Student: স্কুল পড়ুয়াদের আধার অন্তর্ভুক্তি করতে হবে, বড় ঘোষণা রাজ্যের