চাকরির আশ্বাস দিলেও মইদুলের বাড়িতে দেখা নেই কারও, অভিযোগ বামেদের

সকাল থেকেই মইদুলের বাড়িতে রয়েছে বাম নেতারা।

চাকরির আশ্বাস দিলেও মইদুলের বাড়িতে দেখা নেই কারও, অভিযোগ বামেদের
সোমবার সকালেই মৃত্যু হয় মইদুল ইসলাম মিদ্যার।
Follow Us:
| Updated on: Feb 16, 2021 | 4:43 PM

কলকাতা: সোমবার সকালে মইদুল ইসলামের মৃত্যুর পর থেকেই উত্তাল রাজ্য। চলছে অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগের লড়াই। কখন মৃত্যু, কীভাবে মৃত্যু, তা নিয়ে এখনও রয়েছে প্রশ্ন। এ সবের মধ্যেই মইদুলের পরিবারকে চাকরি ও আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। কিন্তু বামেদের অভিযোগ, বেশ কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত পরিবারের পাশে দেখা যায়নি তৃণমূলের কাউকেই।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্রের কাছে একটি ফোন আসে। বামেরা মইদুলের পরিবারের পাশে রয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। কিন্তু, বামেদের পাল্টা দাবি, তাঁরা মইদুলের বাড়িতে সকাল থেকে বসে থাকলেও তৃণমূলের কারও কোনও দেখা নেই।

আরও পড়ুন: কোথায় ছিলেন মইদুল, জানতে চেয়ে ফুয়াদ হালিমকে চিঠি পুলিশের

এ দিন, এসএফআই-এর রাজ্য সভাপতি প্রতিকুর রহমান জানান, সায়নদীপ যখন মইদুলের বাড়িতে বসে ছিলেন, তখনই ওই ফোন আসে তাঁর কাছে। ফোনে প্রশ্ন করা হয়, তাঁরা মইদুলের পরিবারের পাশে রয়েছেন কিনা। জবাবে সায়নদীপ বলেন, “আমরা আছি মইদুলের পরিবারের পাশেই। গুজবে কান দেবেন না।”

ছাত্র নেতাদের পাল্টা অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর চাকরি দেওয়ার ঘোষণা হয়ে গিয়েছে প্রায় ১৫-১৬ ঘণ্টা হল। এখনও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ মইদুলের বাড়িতে এসে পৌঁছননি। তাঁদের দাবি, ‘দুয়ারে সরকার’ মইদুলের দুয়ারে পৌঁছচ্ছেন না। “আমরা আমাদের জায়গায় থেকে এক ইঞ্চিও সরব না” বলে উল্লেখ করেছেন প্রতিকুর রহমান।

আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভে বাম ছাত্র যুবরা, রাজধানীতেও মইদুল মৃত্যুর আঁচ

কোতলপুরের ডিওয়াইএফআই-এর নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্য়ুর পর সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন, মৃত ডিওয়াইএফআই কর্মীর পরিবারের একজনকে চাকরি দিতে তৈরি রাজ্য সরকার, দেওয়া হবে আর্থিক সহায়তাও। এই মৃত্যুকে ‘দুঃখজনক’ আখ্যা দিয়ে মমতা জানান, তিনি সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলেন। এবং সব রকমভাবে মইদুলের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। সঙ্গে কিছু প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন মমতা। মমতা বলেন, “সব মৃত্যুই দুঃখজনক। সুজন চক্রবর্তীকে আমি সকালে ফোন করেছিলাম। বলেছি এটা দুঃখজনক। কীভাবে মারা গেল সেটা ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে।” তবে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, “এর তিনদিন আগে যে ছেলেটা ভর্তি হল তাঁদের বাড়ির লোককে জানানো হবে না? পুলিশকে জানানো হবে না?”