Calcutta High court: ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটির কোনও হিসেব নেই, নির্দেশ পেলেই অভিযোগের তদন্তে প্রস্তুত CBI

Calcutta High court: রাজ্যের যুক্তি ছিল, ক্যাগের রিপোর্ট রাজ্যপালের কাছে যায়। সেখান থেকে যায় বিধানসভায়। তারপর তা নিয়ে আলোচনা হয় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-তে।

Calcutta High court: ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটির কোনও হিসেব নেই, নির্দেশ পেলেই অভিযোগের তদন্তে প্রস্তুত CBI
টাকা নয়ছয়ের মামলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 28, 2023 | 4:41 PM

কলকাতা: রাজ্যে একাধিক দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। এরই মধ্যে কেন্দ্রের পাঠানো টাকার হিসেব নিয়ে উঠল প্রশ্ন। কীভাবে সেই টাকা খরচ হয়েছে তা জানতে কি এবার রাজ্যকে সরাসরি সময় বেঁধে দিয়ে রিপোর্ট চাইবে আদালত? অন্যদিকে, আদালত নির্দেশ দিলে আর্থিক অনিয়ম হয়েছে কি না তার তদন্ত করতে সিবিআই প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিস্যিটর জেনারেল। আগামী সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। কেন্দ্রের পাঠানো টাকায় আর্থিক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ তিন ব্যক্তি। সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। মামলকারীদের অভিযোগ ছিল, প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার হিসেব দিতে পারছে না রাজ্য সরকার। বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৩১ মার্চ ক্যাগের রিপোর্টে ওই অসঙ্গতির কথা রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো টাকার নয়ছয় হয়েছে বলে দাবি করা হয়। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি।

রাজ্যের যুক্তি ছিল, ক্যাগের রিপোর্ট রাজ্যপালের কাছে যায়। সেখান থেকে যায় বিধানসভায়। তারপর তা নিয়ে আলোচনা হয় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-তে। খরচ নিয়ে সেখানেই এখন বিষয়টি আলোচনার স্তরে রয়েছে। ফলে এ নিয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলে দাবি রাজ্যের।

এই মামলায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সওয়াল করেন, ২০১১ সালের আগেরও রিপোর্ট নেই। ২০০২ সাল থেকে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ প্রশ্ন তোলেন, ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কেন প্রকাশ করা হয়নি রিপোর্ট? সেই অর্থের খরচ কী ভাবে হয়েছে? পিএসি-র এ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত?

উত্তরে এজি বলেন, ‘এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিধানসভার দায়িত্ব প্রশ্ন ওঠে। এমতাবস্থায় আদালত চাইলে বিধানসভাকে মামলায় যুক্ত করতে পারে।’ অন্যদিকে, এই জনস্বার্থ মামলাটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।