NRS Hospital: কোভিড ওয়ার্ডের সামনেই হিন্দি গান আর শব্দবাজির উল্লাস, ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই কড়া পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষের

NRS Hospital: মিনিট দুয়েকের সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, নীল-সাদা-সবুজ আলোয় সেজেছে মেডিক্যাল চত্বর। সেখানেই শেষ নয়। বাজছে চটুল হিন্দি গান। মাইক বাজিয়ে চলছে গানবাজনা।

NRS Hospital: কোভিড ওয়ার্ডের সামনেই হিন্দি গান আর শব্দবাজির উল্লাস, ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই কড়া পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষের
রাতভর শব্দতাণ্ডব, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 05, 2021 | 7:54 AM

কলকাতা : সরকারি হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে গাফিলতির অভিযোগ সামনে আসে। তবে, সম্প্রতি এনআরএস হাসপাতালের যে ছবি চোখে পড়েছে, তা কার্যত নজিরবিহীন। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে হাসপাতাল চত্বরেই বাজি ফাটিয়ে মাইক বাজিয়ে চলছে ‘উল্লাস’। এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কোনও ব্যবস্থা না নিলেও অবশেষে কড়া পদক্ষেপ করল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সংবাদমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দু’জন ইন্টার্ন-সহ বাকিদের শো-কজ করা হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে লিখিত বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে।

কোভিড ওয়ার্ডের সামনেই ঘটেছে সেই ঘটনা। হাসপাতালে ছিলেন আক্রান্তরাও। অভিযোগ, চিকিত্‍সক-পড়ুয়ারা রাতভর হাসপাতাল চত্বরেই বাজি ফাটিয়েছে, মাইক বাজিয়েছে। ভাইরাল হয় সেই ভিডিয়ো।

ভাইরাল হওয়া মিনিট দুয়েকের সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, নীল-সাদা-সবুজ আলোয় সেজেছে মেডিক্যাল চত্বর। সেখানেই শেষ নয়। বাজছে চটুল হিন্দি গান। মাইক বাজিয়ে চলছে গানবাজনা। সঙ্গে ফাটানো হচ্ছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। এদিকে পাশেই কোভিড ওয়ার্ড। সেখানে কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন রোগীরা। রয়েছেন অন্যান্য রোগীরাও। সেই হাসপাতাল চত্বরের পাশের মাঠেই রাতভর চলেছে এমন তাণ্ডব!

সূত্রের খবর, বুধবার এনআরএস হাসপাতালে একটি আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলছিল। সেই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করতেই চলে উদযাপন। রাতভর হাসপাতালে বাজল মাইক। ফাটানো হল নিষিদ্ধ শব্দবাজি। আর কারা এই উদযাপনের নেপথ্যে ছিলেন? সেই চিকিত্‍সক-পড়ুয়ারা। যাঁরা মেডিক্যাল পড়ছেন। খোদ সরকারি হাসপাতালে কেন  এমন বিজয়োল্লাস? কেনই বা কোনও পদক্ষেপ করল না পুলিশ?

সূত্রের খবর, সেই ‘বিজয়োল্লাসের’ খবর পেয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতাল চত্বরে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ।  কিন্তু তারপরেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। প্রশ্ন উঠছে চিকিত্‍সক-পড়ুয়া বলেই কি তাঁরা সব নিয়মের ঊর্ধ্বে? যেখানে শব্দবাজি ফাটানো নিষিদ্ধ, সেখানে কী করে হাসপাতাল চত্বরে বাজি ফাটাতে পারলেন তাঁরা? প্রশ্ন ওঠে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই চিকিত্‍সক-পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হাসপাতাল চত্বর। তাঁদের আন্দোলনের পন্থা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল একাধিক।

আরও পড়ুন :  Roopa Ganguly: ‘আমাকে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চা থেকে সরানোর জন্য সবাই মিলে খেলেছে’

বুধবারের ওই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি নেত্রী চিকিত্‍সক অর্চনা মজুমদার বলেন, “আমি এনআরএস-এর প্রাক্তনী। আমার কোনও প্রতিক্রিয়া দিতেও খারাপ লাগছে। যাঁরা ডাক্তারি পড়তে আসছেন তাঁরা যথেষ্ট মেধাবী। হাসপাতাল যাঁরা পরিচালনা করছেন তাঁরা অর্থাত্‍ প্রিন্সিপাল, এমএসভিপি বা অন্যান্য় আধিকারিকরা, তাঁরা কেমন পরিচালক তা খতিয়ে দেখার দরকার রয়েছে। কোনও হাসপাতাল চত্বরে বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালে এমন ঘটনা নিন্দনীয়।”

আরও পড়ুন : Mamata Banerjee: নেপালের শাসক দলের আমন্ত্রণ মমতাকে, অনুমতি চাওয়া হল কেন্দ্রের কাছে