Fraud Case: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট, প্রায় ২ লাখ টাকা খোয়ালেন সল্টলেকের বৃদ্ধ দম্পতি
Fraud Case: বৃদ্ধ দম্পতিকে প্রতারিত করে প্রায় ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল প্রায় বছর দেড়েক আগে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে। দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চালানোর পর শেষ পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত চঞ্চল রায়কে।
কলকাতা: প্রতারণার নতুন ফাঁদের পর্দাফাঁস করল পুলিশ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নামে অনলাইনে ভুয়ো সাইট খুলে জালিয়াতি চক্র চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই লোক ঠকানোর কারবারের শিকার হয়েছিলেন সল্টলেকের এক বৃদ্ধ দম্পতি। বৃদ্ধ দম্পতিকে প্রতারিত করে প্রায় ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল প্রায় বছর দেড়েক আগে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে। দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চালানোর পর শেষ পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত চঞ্চল রায়কে। বর্ধমান থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। এদিন অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে পেশ করে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।
কীভাবে চলত এই প্রতারণার কারবার?
পুলিশ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধ দম্পতি সল্টলেকের একে ব্লকের বাসিন্দা। ২০২১ সালের মার্চ মাসে গুগলে এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পেজ খুলে সেখানে দেওয়া টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করেন বৃদ্ধ। টিডিএস সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধান করেন তিনি। পেজে থাকা টোল ফ্রি হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলে যাবতীয় সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় এবং একটি অ্যাপ মোবাইলে ডাউনলোড করতে বলে। তখনও বৃদ্ধ বুঝতে পারেননি ফোনের ওপারে প্রতারক বসে রয়েছে। অ্যাপটি ডাউনলোড করতেই সেখানে একটি ওটিপি যায় এবং সেই ওটিপি ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তিকে জানাতেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় প্রায় দুই লাখ টাকা।
জানা গিয়েছে, যে ভুয়ো ওয়েবসাইটটি খোলা হয়েছিল, সেটিতে হেল্পলাইন নম্বরটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আসল হেল্পলাইন নম্বরের সঙ্গে প্রায় একই। কেবলমাত্র একটি সংখ্যা বদলে দেওয়া হয়েছিল। ওই বৃদ্ধ দম্পতি ঘটনার পর পুলিশের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ বর্ধমান থেকে গতকাল গ্রেফতার করে অভিযুক্ত চঞ্চল রায়কে। তাকে জেরা করে এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সাহায্যের জন্য বিধাননগরে সাঁঝবাতি নামে একটি প্রকল্প খোলা হয়েছিল। তাঁদের কোনও সমস্যা বা অভিযোগের কথা এই প্রকল্পের আওতায় থাকা হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছিল। এই বৃদ্ধ দম্পতিও ওই প্রকল্পের আওতাতেই রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে কেন এতদিন লেগে গেল এই গ্রেফতারিতে, সেই বিষয়ে পুলিশের তরফে কেউ কিছু বলতে চাননি।