Fake Call Center: ভুয়ো কল সেন্টারে কীভাবে আসত প্রতারিতদের তথ্য? তদন্ত নেমে বড় সাফল্য বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার
Fake Call Center: জানা যায়, ভুয়ো ওই সংস্থাকে বিদেশি নাগরিকদের তথ্য জোগান দিত অন্য এক ব্যক্তি। সেই সূত্র ধরেই মঙ্গলবার রাতে নৈহাটিতে অভিযান চালান বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশকর্মীরা। তাতেই আসে সাফল্য।
কলকাতা : মাস খানেক আগেই শহর কলকাতায় এক ভুয়ো কল সেন্টারের খোঁজ পেয়েছিলেন বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনাটি ঘটেছিল ২৪ জুন। চিনার পার্ক এলাকায় ওই ভুয়ো কল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও একজনকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে নৈহাটি এলাকা থেকে গ্রেফতার কর হয়েছে ওই ব্য়ক্তিকে। ধৃত ব্যক্তির নাম অপু সাহু। এর আগে চিনার পার্কের ওই ভুয়ো কল সেন্টারের অফিসে অভিযান চালিয়ে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের জিজ্ঞসাবাদ করেই পুলিশ জানতে পারে এই ব্যক্তির কথা।
তদন্ত যত এগোয়, তত রহস্য উদ্ঘাটন হতে থাকে। জানা যায়, ভুয়ো ওই সংস্থাকে বিদেশি নাগরিকদের তথ্য জোগান দিত অন্য এক ব্যক্তি। সেই সূত্র ধরেই মঙ্গলবার রাতে নৈহাটিতে অভিযান চালান বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশকর্মীরা। তাতেই আসে সাফল্য। গ্রেফতার করা হয় অপু সাহু নামে এক ব্যক্তিকে। পুলিশের সন্দেহ, এই অপু সাহু টাকার বিনিময়ে বিদেশি নাগরিকদের তথ্য ওই ভুয়ো কল সেন্টারকে দিত। জানা গিয়েছে, অপু সাহু একটি সাইবার ক্যাফের মালিক। সূত্র মারফত জানা যায়, প্রায় লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে এই সব তথ্য সে ভুয়ো কল সেন্টারকে দিত। এদিন অভিযুক্ত অপু সাহুকে বিধাননগর আদালতে পেশ করা হয়।
আগামী দিনে ধৃত এই অপু সাহুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও নতুন কোনও তথ্য পাওয়া যায় কি না, সেই চেষ্টা চালাবেন বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশকর্মীরা। পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, অপু সাহু কীভাবে বিদেশি নাগরিকদের তথ্য জোগাড় করত, সেই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে কলকাতা শহরে এবং শহরতলি এলাকায় একাধিক ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণার ছক চালানো হচ্ছিল। পুলিশি তৎপরতায় ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে ধড়পাকড় করেছে পুলিশ।