Admission: ১৮ জুলাই থেকে খুলে যাচ্ছে স্নাতকে ভর্তির পোর্টাল, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তি স্নাতকোত্তরে
Admission: উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই থেকে কলেজভিত্তিক ভাবে ভর্তি প্রক্রিয় শুরু হবে। ৫ অগস্ট বন্ধ হয়ে যাবে পোর্টাল।
কলকাতা: উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পরেই কবে থেকে স্নাতক স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। এদিকে শুরুতে একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক ভাবে ভর্তির কথা জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Education Minister Bratya Basu)। তবে প্রক্রিয়াগত সমস্যার জেরে এ বছর তা হচ্ছে না বলে কিছুদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। কলেজ ভিত্তিকভাবে পুরনো পদ্ধতিতেই হচ্ছে ভর্তি প্রক্রিয়া। এমতাবস্থায় এবার বাড়ন্ত কোভিড পরিস্থিতিকে মান্যতা দিয়েই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। ভর্তির ব্যাপারে জারি হয়েছে নতুন নির্দেশিকা। ১৮ জুলাই থেকে খুলে যাচ্ছে স্নাতকে ভর্তির পোর্টাল (Graduation Admission Portal)। পরবর্তীতে ৩১ অগাস্ট থেকে থেকে শুরু হয়ে যাবে স্নাতকোত্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া।
১৮ জুলাই থেকে শুরু স্নাতকে ভর্তি প্রক্রিয়া
উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই থেকে কলেজভিত্তিক ভাবে ভর্তি প্রক্রিয় শুরু হবে। ৫ অগস্ট বন্ধ হয়ে যাবে পোর্টাল। তবে সশরীরে কলেজে গিয়ে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন করতে হবে না পড়ুয়াদের। এরপর কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অন্যদিকে, উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে ৩১ অগস্টের মধ্যে অবশ্যই করতে হবে স্নাতকের ফলপ্রকাশ। নতুন শিক্ষাবর্ষে স্নাতকের প্রথম সেমেস্টারের ক্লাস শুরু হবে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে।
১ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে স্নাতকোত্তরে ভর্তির পোর্টাল
অন্যদিকে স্নাতকোত্তরে ভর্তির পোর্টাল খুলবে ১ সেপ্টেম্বর। ১৫ তারিখ পর্যন্ত করা যাবে আবেদন। ২১ অক্টোবরের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে ভর্তি প্রক্রিয়া। এরপরেই নতুন শিক্ষাবর্ষে ১ নভেম্বর থেকে স্নাতকোত্তরে ক্লাস শুরু হবে। মেধা তালিকা বের হবে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এ ক্ষেত্রেও থাকছে না ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনের পদ্ধতি। পুরোটাই হবে অনলাইনে। একইসঙ্গে উচ্চশিক্ষা সংসদের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে স্নাতক স্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ৮০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করতে হবে। পাশাপাশি বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ২০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করতে হবে। তবে করোনার কারণে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন না হলে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ায় নতুন করে দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যাবে কিনা ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে।