চোখ পরীক্ষার যন্ত্র বিকলে হয়রানি রোগীদের, হুঁশ নেই স্বাস্থ্য দফতরের
চক্ষু চিকিৎসায় 'উৎকর্ষ কেন্দ্র' হওয়ায় রোগীর চাপ তুলনামূলকভাবে বেশি, কিন্তু সেই চক্ষু চিকিৎসার ‘উৎকর্ষ কেন্দ্রে’র এই হাল কেন?
কলকাতা: প্রায় মাসখানেক ধরে বিগড়ে রয়েছে যন্ত্র। আর তার জেরে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজি (Regional Institute Of Opthalmology) তে চোখের চিকিৎসা করাতে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন রোগীরা। এদিকে চোখের রোগ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র অকেজো থাকার কথা স্বাস্থ্য ভবনের অজানা নয় বলে খবর। তবুও জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা মানুষদের হয়রানি বন্ধে নতুন যন্ত্র মেলেনি।
রেটিনায় স্ট্রোক হোক বা ডায়াবেটিক রেটিনোগ্রাফি, চোখের অসুখ ধরতে হলে ‘অপটিক্যাল কোহেরেন্স টোমোগ্রাফি’ (Optical Coherence Tomography) পরীক্ষা করা জরুরি। চোখে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ ধরতেও এই পরীক্ষা আবশ্যক। কিন্ত চক্ষু চিকিৎসায় পূর্বাঞ্চলের একমাত্র রেফারেল সেন্টার রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজি (RIO)’তে সেই যন্ত্রই মাসখানেক ধরে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে!
এদিকে আরআইও সূত্রের খবর, প্রতিদিন ১০০ জন রোগীর চোখ পরীক্ষা করে এই কোটি টাকার যন্ত্র। আরআইও-র এক অধিকর্তার কথায়, ১০ বছর আগে বসানো এই মেশিনে প্রতিদিন ১০০ রোগী দেখতে গিয়ে প্রচুর ধকল যায়। বিভিন্ন রকম রেটিনার অসুখে এই যন্ত্রের সাহায্য পরীক্ষা ভীষণই জরুরি। কিন্তু সেই মেশিন খারাপ হয়ে যাওয়ার ফলে জেলা থেকে আগত বহু রোগী চিকিৎসা ছাড়াই ফিরে যাচ্ছেন। এ জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত বলে জানান। এ ব্যাপারে সরকারের কি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন? ওই অধিকর্তা জানাচ্ছেন একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে জানানো হয়েছে। তবে আশা করা যায় সরকার শীঘ্রই এ ব্য়াপারে পদক্ষেপ করবে।
আরও পড়ুন: গরু সম্পর্কে জ্ঞান কত? যাচাই করতে পরীক্ষা দেবে ৫ লাখেরও বেশি পড়ুয়া!
উল্লেখ্য, বেসরকারি ক্ষেত্রে রোগী পিছু সংশ্লিষ্ট যন্ত্রে পরীক্ষার খরচ হয় এক হাজার টাকা। আরআইও’র পাশাপাশি এসএসকেএম এবং সাগর দত্তে এই পরীক্ষা করানোর সুযোগ রয়েছে। কিন্ত ‘রেফারেল সেন্টার’ এবং চক্ষু চিকিৎসায় ‘উৎকর্ষ কেন্দ্র’ হওয়ায় সেখানে রোগীর চাপ তুলনামূলকভাবে বেশি। কিন্তু সেই চক্ষু চিকিৎসার ‘উৎকর্ষ কেন্দ্রে’র এই হাল কেন? মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশন সূত্রের খবর, ওসিটি পরীক্ষায় দু’টি যন্ত্র পাওয়ার কথা আরআইও’র। কিন্তু প্রায় একডজন চিঠি পাঠিয়েও মেলেনি যন্ত্র। ফলে বহাল রয়েছে রোগীদের হয়রানি।