Organ Transplantation: অন্তরায় বিমান-যোগাযোগ! হৃদপিণ্ড পেয়েও প্রতিস্থাপনের সুযোগ হাতছাড়া প্রৌঢ়ের
Belgharia: কলকাতা থেকে নাগপুর এবং বরোদা যাওয়ার জন্য সরাসরি কোনও বিমান নেই। তাই সুযোগ এসেও তা হাতছাড়া হল ওই প্রৌঢ়ের।
বয়স পঞ্চাশ। বেলঘরিয়ার বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়। হার্টের সমস্যা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা ছাড়া আর কোনও পথই খোলা নেই। আর তা করতে হবে যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব। কিন্তু এখানে অন্তরায় বিমান-যোগাযোগ!
কলকাতা থেকে নাগপুর এবং বরোদা যাওয়ার জন্য সরাসরি কোনও বিমান নেই। তাই সুযোগ এসেও তা হাতছাড়া হল ওই প্রৌঢ়ের। বেসরকারি ওই হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, “পূর্ব ভারত থেকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে সরাসরি বিমান অনেক কমে গিয়েছে কোভিড পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায়। কিন্তু অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে সময়টা খুব বড় বিষয়। একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিস্থাপনযোগ্য অঙ্গ নিয়ে আসতে হয়। হার্টের ক্ষেত্রে এটা চার ঘণ্টা এবং ফুসফুসের ক্ষেত্রে ছ’ঘণ্টার মধ্যে নিয়ে আসতে হয়। এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যখন অন্য শহরে যেতে হচ্ছে তখন যদি সরাসরি বিমান না পাওয়া যায় এই অর্গান কিন্তু কলকাতা শহরে এনে পৌঁছনো কঠিন।”
এদিকে যে প্রৌঢ় এক সপ্তাহ ধরে একমোয় রয়েছেন, সাতদিনের মধ্যে তাঁর অঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে হবে। তা হলে ঝুঁকি কমবে। একেবারে জীবন-মরণ সমস্যা। অথচ শুধুমাত্র কলকাতা থেকে বিমান যোগাযোগ না থাকায় সে ঝুঁকিতে থাকতে হচ্ছে পরিবারকে। আক্ষেপ যাচ্ছে না চিকিৎসকদেরও।
ওই প্রৌঢ়ের চিকিৎসা করছেন যে চিকিৎসক তিনি জানান, “পূর্ব ভারতের বিমানের সংখ্যা আরও বাড়ানো দরকার। আমি নিজে টুইটে ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন এবং সিভিল অ্যাভিয়েশন মিনিস্টারকে বিষয়টি জানিয়েছি। এগুলো কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোভিডউত্তরকালে এবার উড়ান বাড়ানো দরকার। পূর্ব ভারত থেকে ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রান্তে যাতে সরাসরি পরিষেবা বাড়ানো হয়। এতে আমাদের এই সমস্যায় কিন্তু খানিকটা আলোকপাত করতে হবে।”
আরও পড়ুন: মাঝ রাতে কে যেন নামল হলুদ ট্যাক্সি থেকে, শাবল দিয়ে তুলে নিল ম্যানহোলের ঢাকনা! তারপর…