Lalit Jha: ‘মাথা তুলে কথাই বলত না’, সেই নাকি ‘মাস্টারমাইন্ড’! হতবাক ললিতের বাগুইআটির প্রতিবেশীরা
Lalit Jha: গত তিন বছর ধরে ইকো পার্ক থানা এলাকার হেলাবটতলায় ভাড়ায় থাকতেন ললিত ঝা। সঙ্গে থাকতেন তাঁর বাবা, মা ও ভাই। বাড়িওয়ালি দীপালি রায় জানিয়েছেন, ললিতের পরিবার বিহার থেকে এসেছিল। বাইরের লোকের আনাগোনা না থাকলেও এলাকার মানুষজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল তাঁদের।
ইকো পার্ক: বুধবার সংসদ হানার পর থেকেই খোঁজ চলছিল ললিত ঝা-র। তাঁকে ওই ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলেই উল্লেখ করা হচ্ছে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পর বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদে স্মোক বম্ব হামলার পর পুরো ভিডিয়ো রেকর্ড করেছিলেন ললিত। কিন্তু ঘটনার পর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ ছিল না। তাঁর সন্ধান করতে গিয়ে পুলিশ কলকাতা-যোগ খুঁজে পায়। কলকাতাতেই পরিবার নিয়ে ভাড়ায় থাকতেন তিনি। তবে তাঁর এই কীর্তি সামনে আসার পর রীতিমতো হতবাক প্রতিবেশী থেকে বাড়িওয়ালা। পেশায় শিক্ষক, ভদ্র ছেলেটা এমন কাণ্ড ঘটাল কীভাবে!
গত তিন বছর ধরে ইকো পার্ক থানা এলাকার হেলাবটতলায় ভাড়ায় থাকতেন ললিত ঝা। সঙ্গে থাকতেন তাঁর বাবা, মা ও ভাই। বাড়িওয়ালি দীপালি রায় জানিয়েছেন, ললিতের পরিবার বিহার থেকে এসেছিল। বাইরের লোকের আনাগোনা না থাকলেও এলাকার মানুষজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল তাঁদের। আর ললিত? এক কথায় তাঁকে ‘ভদ্র ছেলে’ বলেই উল্লেখ করছেন প্রত্যেকে। সেই ললিত যে এমন একটা ঘটনার পিছনে থাকতে পারে, সেটা বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁরা।
দীপালি রায়কে ললিত সম্পর্কে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, ওর মতো ভাল ছেলে হয় না। কখনও মাথা তুলে কথা বলত না। কিছু জিজ্ঞেস করলে মাথা নীচু করে জবাব দিত। গত ১০ ডিসেম্বর দুপুরে ললিতের বাবা-মা ও ভাই বিহারে যান। সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরোন ললিত। বলে গিয়েছিলেন, দিল্লিতে কাজ আছে, ৩-৪ দিনের মধ্যে ফিরে আসবেন। তারপরই এই ঘটনা। এক প্রতিবেশী জানান, এলাকায় টিউশন পড়ানোর জন্য পরিচিতি ছিল ললিতের। স্কুলেও পড়াতেন তিনি।
বৃহস্পতিবারও পুলিশ গিয়েছিল ওই ঠিকানায়। পরিবারের কাউকে না দেখে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চলে যায়।





