Partha Chatterjee: আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়: পার্থ
Partha Chatterjee: হাসপাতালে ঢোকার সময়ে পার্থ বলেছিলেন একই কথা। 'কার টাকা?'
কলকাতা: গাড়ি ঘিরে রয়েছে সিআরপিএফ জওয়ানরা। হুইলচেয়ারের ওপর কার্যত উপড়ে পড়া ভিড়। চতুর্দিক থেকে ফ্ল্যাশ লাইটের ঝলকানি, চোখা চোখা প্রশ্ন। ‘পার্থ দা….’লাইম লাইটে। এখন সিজিও কমপ্লেক্স টু জোকা ইএসআই হাসপাতাল। বহুচর্চিত ‘অপা’কে সামনে পাওয়ার এটাই একমাত্র সুযোগ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। অর্পিতাকে কার্যত কাঁদতেই দেখা যাচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য মুখ খুলছেন আর একেকবার বিস্ফোরক দাবি করছেন। রবিবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে ঢোকার সময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমার টাকা নয়…’ তবে কার টাকা? একটা নতুন রহস্য জিইয়ে রেখে হাসপাতালের ভিতর ঢুকেছিলেন পার্থ।
সাংবাদিকরা তখন সেই উত্তরের অপেক্ষায় কার্যত হা পিত্যেশ করেই বসে হাসপাতালের বাইরে। বেলা ১.৫০ মিনিট হাসপাতাল থেকে বের করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। প্রচুর ভিড়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে রেখেছেন তাঁকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশে ফের প্রশ্ন, ‘পার্থ দা কার টাকা?’ গাড়ির ভিতর ততক্ষণে উঠে গিয়েছে পার্থ। তবুও উত্তর দিলেন, ‘আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়…’ তিন বার। কার্যত জোর দিতে চাইলেন এই দুই শব্দের ওপর।
হাসপাতালে ঢোকার সময়ে পার্থ বলেছিলেন একই কথা। ‘কার টাকা?’ প্রশ্নের উত্তরে তাঁর জবাব ছিল, ‘সময় এলেই বুঝবেন।’ পার্থ আসলে কী বলতে বা ইঙ্গিত করতে চাইছেন, সে উত্তর এখন ইডির সেই দুধ সাদা গাড়ির কাচের পিছনেই আটকে।
গ্রেফতারির পর একেবারেই সপক্ষে কিছু বলেননি পার্থ। তা নিয়ে অবশ্য কম জলঘোলা হয়নি। কিন্তু এই নিয়ে গত শুক্রবার ও এই রবিবার বেশ কয়েকটি শব্দবন্ধ ব্যবহার করলেন তিনি। যা কার্যত নিজের পক্ষেই সওয়াল। হাইকোর্টের নির্দেশে ৪৮ ঘণ্টা পর পর শারীরিক পরীক্ষা করানো হবে পার্থ-অর্পিতার। ফলে আবার সিজিও কমপ্লেক্স টু জোকা ইএসআই হাসপাতাল-সফর। আবারও পার্থ বিস্ফোরক হতে পারেন, সেটাও বলবে সময়েই।