পুলিশ নয় তদন্ত করুক সিবিআই, ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি
Fake Vaccine: পরপর তিনটি জনস্বার্থ মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High court)। প্রথম মামলাটি গৃহীত হলেও, বাকি দুটি এখনও গৃহীত হয়নি।
কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডে (Fake Vaccine Case) দায়ের হল আরও একটি জনস্বার্থ মামলা (PIL)। সোমবার এই মামলা দায়ের করেন বিজেপি যুব-মোর্চার রাজ্য সহ সভাপতি তরুনজ্যোতি তিওয়ারি (Tarunjyoti Tiwari)। ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগে সিবিআই তদন্তের দাবি চেয়ে এই মামলা করেছেন তিনি। ওই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশও চেয়েছেন তিনি। ভুয়ো আইএএস সেজে কলকাতা পুরসভার যুগ্ম কমিশনার পরিচয় দিয়ে দিনের পর দিন শহরের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষকে ভুয়ো ভ্যাকসিন দিয়েছেন দেবাঞ্জন দেব। সেই ঘটনার তদন্তে পুলিশের হাতে উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। এই ঘটনার জেরেই কলকাতা হাইকোর্টে পরপর তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল।
বর্তমানে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ। ‘সিট’ গঠন করে তদন্ত চলছে। দেবাঞ্জনের বাড়ি, অফিসে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর সব আটঘাট জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। ভ্যাকসিনের নামে কী দেওয়া হচ্ছিল, সেটাও খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। কোথা থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা পেতেন দেবাঞ্জন? কত দিন ধরে তাঁর এ সব কর্মকাণ্ড চলছিল তা জানারও চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ বার হাইকোর্টে মামলা করলেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি। সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানোর পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, দেবাঞ্জন-কাণ্ডের যাবতীয় নথি ও তথ্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বলয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।
এই নিয়ে হাইকোর্টে পরপর তিনটি জনস্বার্থ মামলা হল। এর আগে আইনজীবী সন্দীপন দাস প্রথম এই সংক্রান্ত একটি মামলা করেন। সেই মামলায় মূলত দুটি আবেদন করা হয়। বর্তমানে যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকার টিকা দিচ্ছে, তাই এ ক্ষেত্রে সিবিআই-কে দিয়ে তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে। অপরদিকে, জাল টিকাকরণ ঠেকাতে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে একটি গাইডলাইন দেওয়ারও অনুরোধও জানানো হয়েছে।
আজ, সোমবার এই সংক্রান্ত পরপর দুটি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। তরুনজ্যোতি ছাড়াও আইনজীবী তাপস মাইতি একটি জনস্বার্থ মামলা করেন এই ইস্যুতে। স্বাধীন সংস্থা দিয়ে তদন্ত করানোর আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, কসবায় যাঁরা ওই কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন তাঁদের মেডিক্যাল চেক আপ করাতে হবে সরকারি তত্ত্বাবধানে। এ ছাড়াও রাজ্যে জরুরি ওষুধ বন্টন ও ব্যবহারের জন্য ফৌজদারি তদন্তের দাবি করা হয়েছে।