Corporation Election: সব পুরনিগমে কেন একসঙ্গে ভোট নয়? আদালতে উঠল প্রশ্ন
Calcutta High Court: কলকাতা ও হাওড়া ছাড়া ১১৪ টি পুরসভার ভোট বাকি। কেন বাকিগুলোতে ভোটের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপিও।
কলকাতা : রাজ্যে পুরসভা ও পুরনিগমগুলির ভোট বাকি রয়েছে। কবে ভোট হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। অবশেষে পুর ভোট (Corporation Election) করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার (State Govt)। কিন্তু, সেখানে শুধুমাত্র কলকাতা ও হাওড়া পুর নিগমের ভোট করার কথা বলা হয়েছে। বাকি পুর নিগমগুলিতে কেন ভোট হচ্ছে না, সেই প্রশ্নই উঠে এল জনস্বার্থ মামলায় (PIL)।
বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। পুরভোটে কেন এত দেরি হচ্ছে, সেই প্রশ্নই উঠে এসেছিল। আজ ফের সেই মামলা সামনে এসেছে। সেই সময় হাই কোর্টের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বলা হয়েছিল, যাতে কোনও পদক্ষেপ করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি দেয়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন, ফলে ২০১৮ সালে মেয়াদ শেষ হলেও পুরভোট এখনও হয়নি।
রাজ্যে ১১৬ টি পুরসভা, পুর নিগম থাকা সত্ত্বেও মাত্র দুটি পুর নিগমের ভোটের জন্য কেন চিঠি দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারীর আইনজীবী। মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারকে কপি দিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১৭ নভেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে। উল্লেখ্য কলকাতা ও হাওড়া ছাড়া ১১৪ টি পুরসভার ভোট বাকি।
কলকাতা এবং হাওড়ায় আগামী ১৯ ডিসেম্বর পুরভোট করতে চেয়ে কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যৌথ সিদ্ধান্তে পুরভোট হয়।
এ দিকে, ওই ইস্যুতে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপিও। সব পুরসভায় এক সঙ্গে ভোট চায় বিজেপি। খুব তাড়াতাড়ি এই দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে তারা। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি রাজ্যের সব পুরসভা, পুরনিগমে একসঙ্গে ভোটে লড়ার ক্ষমতা রাখে। কলকাতা-হাওড়ায় রাজনৈতিক স্বার্থে এ রাজ্যের শাসকদল আলাদা করে ভোট করাতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বিজেপির বক্তব্য, শতাধিক পুরসভায় ভোট বাকি। প্রশাসকমণ্ডলী পরিষেবা দিচ্ছে। কেন তা হবে। বিধানসভা, উপনির্বাচন হয়েছে। এবার পুরভোটও হওয়া দরকার। প্রয়োজন পড়লে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে বলেও দাবি রাজ্য বিজেপির।
ভবানীপুরের উপনির্বাচনের ফলাফলের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যের বাকি চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন শেষ হলেই পুরভোট সম্পূর্ণ করে ফেলতে চায় রাজ্য সরকার। তার পর একই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিমও। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে শিগগিরই কলকাতার পুরভোট হবে বলে আভাস দেন কলকাতা পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ও পরিবহণমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েও করোনার জন্যই পুরভোট করতে পারেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন : বিদ্যাসাগর-রামমোহন চিন্তা করেছিলেন, ইমপ্লিমেনটশন করেছে আমাদের সরকার