বাংলার রেল প্রকল্পে টাকার অভাব হবে না, আশ্বাস রেলমন্ত্রীর

টাকা লাগলে দেবে নয়া দিল্লি। জানালেন পীযূষ গোয়েল।

বাংলার রেল প্রকল্পে টাকার অভাব হবে না, আশ্বাস রেলমন্ত্রীর
Follow Us:
| Updated on: Feb 17, 2021 | 11:58 PM

নয়া দিল্লি: সামনেই ভোট। বাংলার উন্নয়ন নিয়ে যে মোদী সরকার তৎপর, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। বাজেটেও বাংলার উন্নয়নের খাতে বেশ কিছু বরাদ্দ করা হয়েছে। এবার বাংলার রেল প্রকল্প নিয়ে আশ্বাস দিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। বুধবার পূর্ব রেলের বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। আর সেখানেই বাংলার প্রকল্প নিয়ে বিশেষ কিছু বার্তা দেন তিনি।

এ দিন ভার্চুয়ালি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী। সেখান থেকেই তিনি বলেন, “বাংলার প্রকল্প সময়ে শেষ করতে টাকার কোনও অভাব হবে না। টাকার যা দরকার হবে তা দিল্লি দেবে।” তবে একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। পীযূষ গোয়েল বলেন, “বাংলায় আমরা রাজ্য সরকারের সহযোগিতা পাই না। জমি সংক্রান্ত একাধিক সমস্যা থাকে। সেই কারণে বাংলায় অনেক প্রকল্প মাঝ পথে আটকে আছে। এতে বাংলার মানুষই সুবিধা পাচ্ছে না।”

এ দিন মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আগামী ২০২৩-এর ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলায় সব লাইনে বিদ্যুতায়ন হয়ে যাবে। মোদী সরকারের আমলে বাংলার জন্য ১৯ হাজার ৮১১ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: প্রাথমিকে নিয়োগ: কাউন্সেলিংয়ের প্রথম দিনই বিতর্কে সংসদ, বিক্ষোভে কয়েকশো প্রার্থী

এ দিন বাংলার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। যার মধ্যে ছিল খাগড়াঘাট রোড, বাসুদেবপুর, লালবাগ কোর্ট রোড, ডাহাপাড়া ধাম ও নিয়াশিপাড়া স্টেশনে ফুট ওভারব্রিজ।

উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রীর হাতেই উদ্বোধন হতে চলেছে নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর সম্প্রসারিত মেট্রো পরিষেবার। মেট্রোর এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এবং রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল।

ইতিমধ্যেই জোরকদমে মেট্রোর ট্রায়াল রান শুরু হয়ে গিয়েছে। জোর কদমে চলেছে সিগন্যাল পরীক্ষার কাজ। দক্ষিণেশ্বর এবং বরানগর মেট্রো স্টেশনে প্রায় প্রতিদিনই সিগন্যালের কাজ খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে আসছেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ যোশী সহ অন্যান্য আধিকারিকরা সঙ্গে থাকছেন আরভিএনএলের কর্তারাও। মেট্রো স্টেশনটি তৈরি করা হয়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে।