Jadavpur Case: ঘটনার এক মাস পর যাদবপুরকাণ্ডে ১২ জনের বিরুদ্ধে চলা মামলায় যুক্ত পকসো ধারা

Jadavpur Case: পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার দিন পড়ুয়াকে বিবস্ত্র করা ও যৌনতা নিয়ে কটাক্ষ করার তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই কড়া ধরা যোগ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পকসো ধারা সংযুক্ত করার শুক্রবার আবেদন জানানো হয় আলিপুর আদালতে। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তারপরই ধৃত ১২ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে চলা মামলায় পকসো ধারা যোগ করা হয় বলে খবর।

Jadavpur Case: ঘটনার এক মাস পর যাদবপুরকাণ্ডে ১২ জনের বিরুদ্ধে চলা মামলায় যুক্ত পকসো ধারা
ডামি পুতুল নিয়ে চলছে তদন্ত।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2023 | 8:55 PM

কলকাতা: ঘটনার সময় জানা যায়নি আসল বয়স। যদিও তদন্ত এগোতেই জানা যায়, যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ওই পড়ুয়ার বয়স ছিল ১৮ বছরের কম। নদিয়ায় ওই ছাত্রের বাড়ি গিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে বয়সের বিষয়টি তুলে এনেছিল মহিলা কমিশন। পাশাপাশি শীঘ্রই যাতে এই কেসে ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয় সে বিষয়ে পুলিশকেও দেখতে বলা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত যাদবপুরকাণ্ডে ১২ জনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় পকসো সেকশন যোগ করা হল। 

প্রসঙ্গত, পকসো ধারা সংযুক্ত করার শুক্রবার আবেদন জানানো হয় আলিপুর আদালতে। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তারপরই ধৃত ১২ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে চলা মামলায় পকসো ধারা যোগ করা হয় বলে খবর। ১১ সেপ্টেম্বর সকলকে পকসো কোর্টে তোলা হবে বলে খবর।

গত ১০ অগস্ট যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার দিন পড়ুয়াকে বিবস্ত্র করা ও যৌনতা নিয়ে কটাক্ষ করার তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই কড়া ধারা যোগ করা হয়েছে। অন্যদিকে শুরু থেকেই যাদবপুর থানার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্তের হালহকিকত বুঝতে যাদবপুর ছুটে যাচ্ছিলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, এখন থেকে যাদবপুরকাণ্ডের তদন্ত করবে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। ইতিমধ্যেই যাদবপুর থানার থেকে তদন্তভার নিয়ে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তের জন্য তৈরি করা হবে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন মৃত ছাত্রের বাবা-মা। সূত্রের খবর, তাঁদের সামনেই নগরপালকে দেখে ঘটনার যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে দোষীরা যে কড়া শাস্তি পাবে সে বিষয়ে পরিবারকে আশ্বস্ত করেন মমতা। অন্যদিকে পুলিশের পাশাপাশি এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই নিজস্ব তদন্ত প্রক্রিয়া চালাচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  সেখানেও উঠে এসেছে র‌্যাগিংয়ের তত্ত্ব।