Nursing Students Movement: সেক্টর ফাইভে হঠাৎ খাবার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, নেপথ্যে কী নার্সিং পড়ুয়াদের আন্দোলন?

Nursing Students Movement: সেক্টর ফাইভের ফুটপাথের খাবারের দোকানিদের দাবি, সন্ধ্যা মুখে হঠাৎই পুলিশের তরফে সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে দোকান বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়। কিন্তু, কেন আচমকা এই নির্দেশ সে বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি।

Nursing Students Movement: সেক্টর ফাইভে হঠাৎ খাবার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, নেপথ্যে কী নার্সিং পড়ুয়াদের আন্দোলন?
ছবি - নার্সিং পড়ুয়াদের আন্দোলন ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2022 | 11:39 PM

সল্টলেক: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (Corruption in teacher recruitment) অভিযোগে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সরগরম বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। সেথানে এবার স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে (Allegations of corruption in recruitment in the health department) তুলে মাঠে নামল নার্সিং ছাত্রীরা। তাদের আন্দোলনেই সোমবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সল্টলেক। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষও হয় অন্দোলনকারীদের। এরইমধ্যে সল্টলেক সেক্টর ফাইভে (Salt Lake Sector V) সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে ফুটপাথের সমস্ত খাবারের দোকান বন্ধ রাখার জন্য হঠাৎ ফরমান জারি করে পুলিশ। কিন্তু কেন এই ফরমান? নেপথ্যে অন্য গন্ধ পাচ্ছেন সল্টলেকের আন্দোলনকারীরা। এদিকে এদিন সকাল থেকে যে দিকে আন্দোলন বাঁক নিচ্ছিল তাতে তা রাত পর্যন্ত গড়াতেই পারত বলে মত ওয়াকিবহাল মহলে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত সেক্টর ফাইভে দিনভর বিক্ষোভকারী নার্সরা যাতে রাতে খাবার না পান তাই পুলিশের এই ‘মাস্টার স্ট্রোক’। এদিকে পুলিশের আচমকা এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়।

সেক্টর ফাইভের ফুটপাথের খাবারের দোকানিদের দাবি, সন্ধ্যা মুখে হঠাৎই পুলিশের তরফে সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে দোকান বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়। দোকানিরা জানান, ততক্ষনে রাতের ক্রেতাদের জন্য খাবার তৈরীর প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে। তখনই প্রস্তুত হয়ে গেছে খাবারের বেশ কিছু পদও। দোকানিদের অভিযোগ, হঠাৎ জারি এই নিষেধাজ্ঞার জেরে বিপুল অর্থের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। বহু খাবার তৈরি থাকলেও তা বিক্রি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে খাবার। কেন রাতে খাবারের দোকান বন্ধ রাখার নিষেধাজ্ঞা পুলিশের? 

দোকানিরা এও বলছেন, কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে দিনভর চলা বিক্ষোভকারী নার্সরা রাতে যাতে কোথাও থেকে খাবার যোগাড় করতে না পারেন এবং বিক্ষোভ যাতে জোরালো না হয় সেই কারণেই এমনই কৌশল নিয়েছে পুলিশ। আরো অভিযোগ, ফুটপাথের সমস্ত খাবারের দোকান বন্ধ রাখা হলেও রমরমিয়ে বেচাকেনা চলছে নামিদামি ঝাঁ চকচকে হোটেল রেস্টুরেন্ট গুলি। এদিকে পুলিশের এই আচমকা সিদ্ধান্তের জেরে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি দফতরের নাইট ডিউটিতে থাকা কর্মী, সিকিউরিটি গার্ড ও বহু গাড়ির চালকরা রাতের খাবার কিনতে এসে ফিরতে যাচ্ছেন খালি হাতেই।