Post Poll Violence Case: নদিয়া বিজেপি কর্মী খুনে এক নাবালক-সহ ২ জন সিবিআই-এর জালে

Post Poll Violence: বিজেপি কর্মী পলাশ মণ্ডল খুনে স্থানীয় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তোলে পরিবার। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও দলীয় কর্মী খুনে কাঠগড়ায় তোলে তৃণমূলকে।

Post Poll Violence Case: নদিয়া বিজেপি কর্মী খুনে এক নাবালক-সহ ২ জন সিবিআই-এর জালে
তথ্য তালাসে সিবিআই (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 08, 2021 | 1:55 PM

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আরও ২ জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। তাদের মধ্যে এক জন নাবালক। নদিয়ার কোতোয়ালিতে পলাশ মণ্ডল নামে এক বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় গ্রেফতার গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। প্রসঙ্গত, ১১ সেপ্টেম্বরেই নদিয়ার কোতোয়ালির বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। ই চার্জশিটে ১৫ জনের নাম ছিল।

বিজেপি কর্মী পলাশ মণ্ডল খুনে স্থানীয় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তোলে পরিবার। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও দলীয় কর্মী খুনে কাঠগড়ায় তোলে তৃণমূলকে। যদিও শাসকদলের তরফে বিজেপির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে পাল্টা দাবি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরেই নদিয়ার হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নিহত বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডলের মৃত্যু মামলায় সিবিআইয়ের জালে আটক দুই। আটক হওয়া অসীমা ঘোষ ও বিজয় ঘোষকে চাপড়া থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় প্রথম তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই তদন্তের স্বার্থে পলাশের বাড়িতে যান। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন।

ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে মোট ৮৪ জন তদন্তকারী অফিসার বা আইও-র মধ্যে ইন্সপেক্টর, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। এছাড়া ২৫ জন কর্তা রয়েছেন এই দলে। জয়েন্ট ডিরেক্টর, ডিআইজি, এসপি পদমর্যাদার এই ২৫ জন অফিসার।

ইতিমধ্যেই আদালতে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। তদন্ত শুরু করার ৬ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা পড়ে। প্রত্যেক জোনের টিমে ২১ জন করে তদন্তকারী অফিসার বা আইও। ইতিমধ্যেই রাজ্যে পৌঁছেছেন ৪ যুগ্ম অধিকর্তারা। পৌঁছেছেন বেশিরভাগ ডিআইজি ও এসপি। রাজ্যে ১৫ টি খুন এবং ৬ টি ধর্ষণের মামলায় ২৭ অগাস্ট ১১টি এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। খুন, খুনের চেষ্টা, বেআইনি অস্ত্র রাখা, অপহরণ, অনুপ্রবেশের মতো একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআরগুলি দায়ের করা হয়। গত শনিবার আরও ১০টি এফআইআর দায়ের করা হয়। ২৯ অগস্ট আরও সাতটি এফআইআর দায়ের করা হয়। পরে আরও দুদফায় চারটি ও তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়।

উল্লেখ্য, ১০ সেপ্টেম্বর ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় রাজ্যে চতুর্থ চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। কাঁকরতলার বিজেপি কর্মী মিঠুন বাগদি খুনে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। তারপর ৩০ সেপ্টেম্বর কাঁকুরগাছির বিজেপি কর্মী অভিজিত্ সরকারের মৃত্যুতে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। এই নিয়ে মোট ৬টা চার্জশিট জমা পড়ে। এখনও পর্যন্ত ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় মোট ৩৭ টি এফআইআর দায়ের হয়েছে।

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এবার রাজ্য পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের তলব করা শুরু করেছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, এবার ধাপে ধাপে প্রত্যেকটি কেসের তদন্তকারী রাজ্যের অফিসারদের তলব করা হবে। ভোট পরবর্তী সংশ্লিষ্ট হিংসার মামলার বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে রাজ্যের তদন্তকারী অফিসারদের কাছেই। যেমন কাদের কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়নি, কেন গ্রেফতার করা হয়নি, কী কী তথ্য প্রমাণ রাজ্য পুলিশের হাতে এসেছিল, তা বিস্তারিত তথ্য রাজ্যের তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছ থেকেই জানতে চায় সিবিআই।

আরও পড়ুন: Businessman Murder: পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলা চলাকালীনই খুন মামলাকারী! প্রসূন মণ্ডল খুনে বিস্মিত হাইকোর্ট