Post Poll Violence Case: ভোট পরবর্তীতে বর্ধমান ‘মার্ডার কেসে’ দায়ের এফআইআর, সংখ্যা বেড়ে ৩৮

Post Poll Violence Case: বর্ধমানের একটি খুনের মামলায় এফআইআর দায়ের করা হল। এই নিয়ে মোট এফআইআর-এর সংখ্যা ৩৮।

Post Poll Violence Case: ভোট পরবর্তীতে বর্ধমান 'মার্ডার কেসে' দায়ের এফআইআর, সংখ্যা বেড়ে ৩৮
তথ্য তালাসে সিবিআই (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2021 | 1:55 PM

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় (Post Poll Violence Case) আরও একটি এফআইআর (FIR) দায়ের করল সিবিআই (CBI)। বর্ধমানের একটি খুনের মামলায় এফআইআর দায়ের করা হল। এই নিয়ে মোট এফআইআর-এর সংখ্যা ৩৮। প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় গত শনিবারই আরও তিনটি এফআইআর দায়ের করেছে।

বর্ধমান সদর থানার বেলপুকুরের বাসিন্দা টোটো চালক নারায়ন দে আক্রান্ত হন ১৮ এপ্রিল। তাঁকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। তখন কাঞ্চননগরে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটে। বিজেপি করায় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরের পর পুলিশ অন্য কয়েকজনের সঙ্গে তাঁকেও গ্রেফতার করে। অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ৩ দিন পর জামিন পেয়ে বাড়ি ফেরার পর ফের তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অবশেষে ৬ মে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনাতেই এফআইআর দায়ের করল সিবিআই।

৩টি মামলার মধ্যে ১টি নদিয়া জেলা ও ২টি উত্তর২৪ পরগনার। ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে মোট ৮৪ জন তদন্তকারী অফিসার বা আইও-র মধ্যে ইন্সপেক্টর, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। এছাড়া ২৫ জন কর্তা রয়েছেন এই দলে। জয়েন্ট ডিরেক্টর, ডিআইজি, এসপি পদমর্যাদার এই ২৫ জন অফিসার।

প্রত্যেক জোনের টিমে ২১ জন করে তদন্তকারী অফিসার বা আইও। ইতিমধ্যেই রাজ্যে পৌঁছেছেন 4 যুগ্ম অধিকর্তারা। পৌঁছেছেন বেশিরভাগ ডিআইজি ও এসপি। রাজ্যে ১৫ টি খুন এবং ৬ টি ধর্ষণের মামলায় ২৭ অগাস্ট ১১টি এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। খুন, খুনের চেষ্টা, বেআইনি অস্ত্র রাখা, অপহরণ, অনুপ্রবেশের মতো একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআরগুলি দায়ের করা হয়। গত শনিবার আরও ১০টি এফআইআর দায়ের করা হয়। ২৯ অগস্ট আরও সাতটি এফআইআর দায়ের করা হয়। পরে আরও দুদফায় চারটি ও তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়।

উল্লেখ্য, ১০ সেপ্টেম্বর ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় রাজ্যে চতুর্থ চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। কাঁকরতলার বিজেপি কর্মী মিঠুন বাগদি খুনে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। এই খুনের ঘটনায় আগেই ৫অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ৩জন জেল হেফাজতে থাকলেও বাকি ২জনের জামিন হয়েছে।

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এবার রাজ্য পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের তলব করা শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই তলব করা হয়েছে সোনারপুর থানার তদন্তকারী অফিসার সুজয় দাসকে।

সিবিআই সূত্রে খবর, এবার ধাপে ধাপে প্রত্যেকটি কেসের তদন্তকারী রাজ্যের অফিসারদের তলব করা হবে। ভোট পরবর্তী সংশ্লিষ্ট হিংসার মামলার বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে রাজ্যের তদন্তকারী অফিসারদের কাছেই। যেমন কাদের কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়নি, কেন গ্রেফতার করা হয়নি, কী কী তথ্য প্রমাণ রাজ্য পুলিশের হাতে এসেছিল, তা বিস্তারিত তথ্য রাজ্যের তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছ থেকেই জানতে চায় সিবিআই।

প্রয়োজনে ওই অফিসারদের বয়ানও রেকর্ড করে রাখতে চান তদন্তকারী অফিসাররা। যেহেতু প্রাথমিক তদন্ত তাঁরাই করেছেন, তাই ঘটনার তাত্ক্ষণিক পর্যায়ের বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ মিলতে পারে। তদন্তের গতি এগোনের ক্ষেত্রে অফিসারদের ওপর কোনও চাপ ছিল কিনা, তদন্ত তত্পরতার সঙ্গে না এগনোর ক্ষেত্রে কোনও বাধ্যবাধকতা ছিল কিনা, সবই রাজ্যের আধিকারিকদের থেকে জেনে নিতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh On Sukanta Majumder: সরানো হয়েছে পদ থেকে, ‘মেঠো’ মেজাজেই উত্তরসূরীকে কী বললেন দিলীপ?