Primary Recruitment: পর্ষদের নতুন নির্দেশিকা, চাইলে বরখাস্ত হওয়া ২৬৯ জন চাকরিতে ফিরতে পারেন

Primary Recruitment: বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের কথা শোনা দরকার বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে শীর্ষ আদালত।

Primary Recruitment: পর্ষদের নতুন নির্দেশিকা, চাইলে বরখাস্ত হওয়া ২৬৯ জন চাকরিতে ফিরতে পারেন
বিজ্ঞপ্তি দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2022 | 7:41 PM

কলকাতা : কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকের শিক্ষকপদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল ২৬৯ জনকে। এবার সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর ওই ২৬৯ জনকে ফের চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গত ১৯ অক্টোবর ওই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই এদিন পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল। নয়া বিজ্ঞপ্তিতে পর্ষদ জানিয়েছে, ওই ২৬৯ জন চাইলে চাকরিতে ফের যোগ দিতে পারেন। তবে এই ২৬৯ জনের মধ্যে সন্দীপ মুখোপাধ্যায় নামে একজনের চাকরি ফেরানো হয়েছে আগেই।

স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে বরখাস্ত করা হয়েছিল ওই ২৬৯ জনকে। পরে ডিভিশন বেঞ্চও সেই নির্দেশ বহাল রেখেছিল। নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয় তাঁদের। পরে সুপ্রিম কোর্টে যায় সেই মামলা। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়।

হাইকোর্টের নির্দেশের পর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন বরখাস্ত হওয়া প্রার্থীরা। তাঁরা দাবি করেছিলেন, কীভাবে তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন তা খতিয়ে দেখা হোক।  সুপ্রিম কোর্ট শেষ পর্যন্ত সেই নির্দেশ দেয়। আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেছিলেন, ২৬৯ জন চাকরি প্রার্থীকে আদত একটা সুযোগ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের কাছে গিয়ে হলফনামা দাখিল করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁরা নিয়োগগুলো অবৈধ নয় প্রমাণ করতে পারেন।

পার্টি করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়

ওই ২৬৯ জনকে মামলার পার্টি বা  সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ওই প্রার্থীদের মামলায় পার্টি করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়। মামলাকারীর আইনজীবীরা চিঠি পাঠান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। ২৬৯ জনের নাম, ঠিকানা , কোন স্কুলে তাঁরা কর্মরত ছিলেন, সে সব জানতে চাওয়া হয়।

ওই ২৬৯ জনকে কেন বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। সেই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি বলে জানায় ডিভিশন বেঞ্চও। এবার সেই ২৬৯ জনকেই চাকরিতে পুনরায় যোগ দেওয়ার কথা বলা হল।