সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে অবরোধ উঠল বাম সমর্থকদের, কোতুলপুর গেল মইদুলের দেহ
সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ও গিরিশ পার্কের মাঝে রাস্তার উপর বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন বাম-কর্মী সমর্থকেরা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর যান চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।
কলকাতা: মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর প্রতিবাদে আবারও রাস্তায় নামলেন বাম-কর্মী সমর্থকেরা। ময়নাতদন্তের পর মৃত ডিওয়াইএফআই কর্মীর দেহ কোতুলপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আঁচ ক্রমশ বড় আকার ধারণ করছে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ও গিরিশ পার্কের মাঝে রাস্তার উপর বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন বাম-কর্মী সমর্থকেরা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর যান চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। পিছু হটতে রাজি ছিলেন না বিক্ষোভকারীরা। তবে দীর্ঘ ৫০ মিনিট অবস্থানের পর বিক্ষোভ ওঠে। ক্রমশ সচল হচ্ছে যান চলাচল।
প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মইদুলের শরীরে অভ্যন্তরীণ কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। প্রাথমিক রিপোর্টে প্রকাশ, মইদুলের হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তাঁর শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কোনও অভ্যন্তরীণ অঙ্গে আঘাতের চিহ্ন নেই। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আগে থেকেই খারাপ ছিল। সেগুলি কতটা খারাপ অবস্থায় ছিল তা জানার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কোষ-কলার পরীক্ষা করা হবে। মৃত ডিওয়াইএফআই কর্মীর কিডনি, লিভার ও হার্ট ইতিমধ্যেই পাঠানো হচ্ছে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য। তারপরেই চূড়ান্ত রিপোর্ট দেবে ময়নাতদন্তকারী দল।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাম সর্মথকেরা। যাদবপুরের বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, “ময়নাতদন্ত হতে কেন এত দেরি হল তা সকলেই বুঝে গিয়েছেন।” ওই যুবককে কার্যত খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ বাম সমর্থকদের। এর প্রতিবাদে সন্ধেবেলাই লালবাজার অভিযান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও পরে লালবাজারের উদ্দেশে না গিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে বসেই বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মীরা।
আরও পড়ুন: কিডনি ফেলিওরে মৃত্যু হয়নি মইদুলের, বলছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট
মইদুলের দেহ কোতুলপুরে নিয়ে যাওয়ার আগে ডিওয়াইএফআই ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিমান বসু, সুর্যকান্ত মিশ্ররা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মৃত দলীয় কর্মীকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর মইদুলের দেহ কোতুলপুরের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় এলে পার্শ্বশিক্ষকরা কত বেতন পাবেন? শাহের কাছে জানতে চাইলেন মুকুল