মইদুলকাণ্ডে পুলিশকে মারধরের অভিযোগ, ২৫০ বাম ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযোগ, ডিওয়াইএফআই কর্মীদের আচমকা আক্রমণে তালতলা থানার ওসি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে বাঁচেন।
কলকাতা: ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের পর ১৫ তারিখ অর্থাৎ সোমবার সকালে মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যু হয়। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সোমবার সকাল থেকেই শহরের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখান ডিওয়াইএফআই-সহ বাম কর্মীরা।এরপর মঙ্গলবার ডিওয়াইএফআই-এর সেই ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল পুলিশ। সোমবার তালতলা থানার এএসআই-কে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এ দিন ছাত্র নেতাদের বিরুদ্ধে জামিন যোগ্য ও জামিন অযোগ্য উভয় ধারাতেই মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: আদিগঙ্গার বিক্ষোভকারীরা ‘পার্শ্বশিক্ষক নন’, চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চ
সোমবার দুপুরে ডিওয়াইএফআই দফতরের সামনে মইদুলের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা। অভিযোগ, সে সময় আচমকা এক পুলিশকর্মীর উপর চড়াও হন কয়েকজন বাম যুব কর্মী। পুলিশের দাবি, তাঁকে ঘিরে মারতে উদ্যত হন কয়েকজন বাম কর্মী। আরও অভিযোগ, ডিওয়াইএফআই কর্মীদের আচমকা আক্রমণে পরিস্থিতি এমন হয় যে তালতলা থানার ওসি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে বাঁচেন। এরপর একজন নিরাপত্তারক্ষীকেও মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন এসএফআই (SFI) নেতা সৃজন ভট্টাচার্যের নামও। তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি পুলিশকে মারার অভিযোগ রয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩, ৩২৪, ৩৩২ ধারা অর্থাৎ সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া, নিগ্রহের মতো অভিযোগে এই মামলা।
আরও পড়ুন: কোথায় ছিলেন মইদুল, জানতে চেয়ে ফুয়াদ হালিমকে চিঠি পুলিশের
সোমবার পুলিশ মর্গেও বিক্ষোভ হয়। কেন ময়নাতদন্তে এত দেরি হচ্ছে তাই নিয়ে পুলিশকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। এক পুলিশ কর্মী বিক্ষোভকারীদের সামনে পড়ে গেলে তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ। এক অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারকেও ঘিরে ঘরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।