Protester at kolkata: অঙ্কিতার তালিকাতেই নাম ছিল, চাকরি মেলেনি, জ্বর গায়ে নিয়েই লড়াই চলছে সুবোধের
Protester at kolkata: পরপর তিন দফায় চলছে এই ধর্ণা। ২০১৯ থেকে এই আন্দোলন চলছে বলে জানিয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা।
কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতির পর্দা একে একে ফাঁস হচ্ছে। একাধিক নিয়োগ মামলায় চলছে সিবিআই তদন্ত। সামনে আসছে ভুরি ভুরি অবৈধ নিয়োগের প্রমাণ। মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়েকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করায় আপাতভাবে দৃষ্টান্ত তৈরি হলেও এখনও বহু চাকরি প্রার্থী নিয়োগের আশায় দিন গুনছেন। মঙ্গলবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক চাকরি প্রার্থী। সুবোধ হালদার নামে ওই চাকরি প্রার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অঙ্কিতার বিষয় অর্থাৎ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তালিকাতেই তাঁর নাম ছিল বলে জানা গিয়েছে।
একটানা ২৪১ দিন ধরে চলছে এই ধর্ণা। এ দিন ধর্ণা-মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন চাকরি প্রার্থী সুবোধ হালদার। তাঁর সহযোদ্ধারা তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়।তার বাড়ি বীরভূমের ইলামবাজারে। অন্যান্য চাকরি প্রার্থীরা জানিয়েছেন, সুবোধ হালদার খুবই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তিনি ২০১৬-র এসএলএসটি-তে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মেধাতালিকা ভুক্ত হয়েও দুর্ণীতির কারণে চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, প্রবল রোদ আর গরমের কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বিক্ষোভকারীরা। তবু তাঁরা হাল ছাড়তে নারাজ। সোমবার থেকেই সুবোধ হালদারের জ্বর আসতে শুরু করে। সঙ্গীরা চাইলেও চিকিৎসকের কাছে যাননি তিনি। মঙ্গলবার সূর্য যখন মধ্য গগণে, তখনই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, তাতে বেনিয়মের অভিযোগ তুলেই ধর্ণায় বসেছেন এই চাকরি প্রার্থীরা। মেধাতালিকায় নম্বর দেখানো হয়নি, এমন সব অভিযোগ সামনে আসে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও সুরাহা হয়নি শেষ পর্যন্ত। ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত তাই দফায় দফায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন তাঁরা। অঙ্কিতার মামলার মামলাকারী ববিতাও তাঁদের মঞ্চেই ছিলেন। সব যোগ্য প্রার্থীদের যাতে চাকরি দেওয়া হয়, সেই দাবিই জানিয়েছেন ওই মঞ্চের প্রার্থীরা।