R G Kar: ‘তিলোত্তমার’ নিঃসাড় শরীরে খোলা হয় নিম্নাঙ্গের পোশাক! আরও বিস্ফোরক তথ্য পুলিশ সূত্রে

R G Kar: পুলিশ জানাচ্ছে, ধৃত বিকৃত মানসিকতার। কারণ যে ধরনের পর্ন তিনি দেখতেন, তা সচরাচর লোকে দেখেন না। সেক্ষেত্রে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, তিলোত্তমার বদলে সেই রাতে যে কেউ থাকলেই ধৃতের বিকৃত লালসার শিকার হতেন। কারণ তিলোত্তমার সঙ্গে তাঁর আগে কোনও পরিচয় ছিল না, আগে থেকে কোনও শত্রুতাও ছিল না।

R G Kar: 'তিলোত্তমার' নিঃসাড় শরীরে খোলা হয় নিম্নাঙ্গের পোশাক! আরও বিস্ফোরক তথ্য পুলিশ সূত্রে
মৃত্যুর পথে ঠেলে দিয়েই ধর্ষণ? Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2024 | 4:40 PM

কলকাতা: জীবন ও মৃত্যুর মাঝামাঝি সময়ে ‘ধর্ষণ’ করা হয়েছিল তিলোত্তমাকে। তাঁর যৌনাঙ্গের ক্ষতচিহ্ন দেখে সে কথা নিশ্চিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে বৃহস্পতিবার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল? ধৃতকে জেরা করে ও পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে একটি ঘটনাপ্রবাহ নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ জানাচ্ছে,  ঘটনার দিন একাধিকবার হাসপাতালে ঢুকেছিলেন ধৃত। রাত ১১ টায় হাসপাতালের পিছনে তাঁর যে মদের ঠেক রয়েছে, সেখানে যান তিনি। সেখানে মদ খেতে খেতে পর্ন দেখেন।  চেস্ট মেডিসিন বিভাগে ঢোকার মূলত দুটো পথ। সামনের দিকের পথ বন্ধ ছিল। পিছনের পথ খোলা ছিল। ভোর চারটের সময়ে চেস্ট মেডিসিনে পিছনের রাস্তা দিয়ে মোট ৫ থেকে ৬ জনকে ঢুকতে দেখা যায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ তাঁদেরকে শনাক্ত করেন। পরে তাঁদের দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছেন, তাঁদের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ঢোকার নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ তাঁদের আত্মীয়রা ভর্তি। একমাত্র ধৃতেরই চেস্ট মেডিসিনে ঢোকার কোনও কারণ নেই

সিসিটিভি ফুটেজে চারটের সময়ে চেস্ট মেডিসিনের সেমিনার রুমে ঢুকতে দেখা যায় তাঁকে। বেরোতে দেখা যায় ৪.৪৫ মিনিট নাগাদ। জেরায় ধৃত জানিয়েছেন, মদ খেতে খেতেই পর্ন দেখেছিলেন তিনি। যখন তিনি সেমিনার রুমে ঢুকেছিলেন. লাল কম্বল চাপা দিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন তিলোত্তমা। ধৃত কম্বল সরিয়ে দেন।

অতর্কিত এই পরিস্থিতিতে প্রথমটায় হকচকিয়ে যান তিলোত্তমা। এরপর ধৃত তাঁর গলা চেপে ধরেন। তিলোত্তমাও তাঁকে মুখে সজোরে আঘাত করেন। তিলোত্তমার মুখের বাঁ দিকে সে চিহ্ন দেখতে পেয়েছে পুলিশও। ধৃত এক হাত দিয়ে তিলোত্তমার গলা চেপে ধরেন, আরেক হাত দিয়ে বুকে, পেটে, মুখে পরপর ঘুষি মারতে থাকেন।

ব্যথায় যখন কাতরাতে থাকেন তিলোত্তমা, তখন নিম্নাঙ্গের পোশাক খোলার চেষ্টা করতে থাকেন ধৃত। তখন তিলোত্তমা বাধা দিয়েছেন। কিন্তু ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তারপরই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়ে বলে অভিযোগ। তিলোত্তমার যৌনাঙ্গের ক্ষতচিহ্ন দেখে সে বিষয়টা স্পষ্ট করেছেন বিশেষজ্ঞরাও। তিলোত্তমার যৌনাঙ্গের ক্ষতচিহ্নকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় ‘পেরিমর্টম’। অর্থাৎ জীবন ও মৃত্যুর মাঝামাঝি সময়ে ‘ধর্ষণ’। যে সময়ে তিলোত্তমা প্রায় নিস্তেজ হয়ে পড়েছিলেন, সে সময়েই ‘ধর্ষণ’ করা হয়েছিল তাঁকে।

পুলিশ জানাচ্ছে, ধৃত বিকৃত মানসিকতার। কারণ যে ধরনের পর্ন তিনি দেখতেন, তা সচরাচর লোকে দেখেন না। সেক্ষেত্রে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, তিলোত্তমার বদলে সেই রাতে যে কেউ থাকলেই ধৃতের বিকৃত লালসার শিকার হতেন। কারণ তিলোত্তমার সঙ্গে তাঁর আগে কোনও পরিচয় ছিল না, আগে থেকে কোনও শত্রুতাও ছিল না।

সিসিটিভি ফুটেজে আরও দেখা যাচ্ছে, ভোর ৪.৪৫ নাগাদ ধৃত সেমিনার রুম থেকে বেরিয়ে যান। এরপর আবার মদ্যপান করেন। তারপর ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাকে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পুলিশ তাঁকে ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাক থেকেই গ্রেফতার করে। যখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, তখনও তিনি পুরোপুরোই নেশাগ্রস্ত ছিলেন।

কিন্তু এক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রশ্নও উঠছে। তিলোত্তমার শরীরে যে ধরনের আঘাত লেগেছে, তা একার পক্ষে করা কি আদৌ সম্ভব? সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, ধৃত কি একাই ছিলেন নাকি আরও অনেক সেই রাতে ধৃতের সঙ্গে ছিলেন।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)