R G Kar Hospital: ইন্টার্নদের কাজে যোগ দিতে নির্দেশ, আদালতের আর্জি সত্ত্বেও অনশনে অনড় হবু ডাক্তাররা

R G Kar Hospital: ২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক ধার্য করা হয়। সেই বৈঠকে কোনও একটি সমাধানসূত্র বের হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তার আগে পর্যন্ত তাঁরা অনশন চালিয়ে যেতেন বলে জানান পড়ুয়ারা।

R G Kar Hospital: ইন্টার্নদের কাজে যোগ দিতে নির্দেশ, আদালতের আর্জি সত্ত্বেও অনশনে অনড় হবু ডাক্তাররা
আরজি করের অচলাবস্থা উদ্যোগী হাইকোর্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2021 | 5:28 PM

কলকাতা: আরজিকর হাসপাতালের (R G Kar Hospital) অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী হাইকোর্ট। ইন্টার্নদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অনশন তুলে নেওয়ারও আবেদন জানানো হয়েছে। তবে অনশনে অনড় পড়ুয়ারা। তাঁরা জানিয়েছেন, রোগীদের কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২ নভেম্বর। তার আগে ২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গেও রয়েছে পড়ুয়াদের বৈঠক।

ঘণ্টা দেড়েক অনশনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে আদালত। নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেও অনশন প্রত্যাহারে আর্জিও জানানো হয়। পড়ুয়ারা নিজেদের দাবি স্বাস্থ্যসচিবকেই বলতে চান বলে জানান। প্রিন্সিপ্যালের পদত্যাগের দাবিতে তাঁরা অনড়। তাঁরা এই বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গেও কথা বলতে চান বলে জানান আন্দোলনকারীরা।

২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক ধার্য করা হয়। সেই বৈঠকে কোনও একটি সমাধানসূত্র বের হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তার আগে পর্যন্ত তাঁরা অনশন চালিয়ে যেতেন বলে জানান পড়ুয়ারা। এদিন শুনানির সময়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এজি হাইকোর্টে সওয়াল করেন, আরজিকর হাসপাতালে যেন মাইকিং, মিছিল করা না হয়। প্রতিবাদ যেন শান্তিপূর্ণ হয়। সকালে যখন আদালতকক্ষে মামলাটি ওঠে, তখন আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

মামলাকারীর পক্ষ থেকে বলা হয়, আন্দোলনের জেরে হাসপাতালের মূল গেটে জমায়েত হচ্ছে। ট্রাফিক বিঘ্নিত হচ্ছে। রোগী পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয়, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি এ বিষয়ে কথা বলে আদালত। ২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের আগেও যেন রোগী পরিষেবায় কোনও ঘাটতি না ঘটে।

বিচারপতি দেবাংশু বসাকের তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য, “গত কয়েকদিনে ডিসচার্জ করা রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি।” বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে গত কয়েকদিনে। এই বিষয়টি এদিন নিজেই তুলে ধরেন বিচারপতি।

এসএসকেএমের নার্সেস ইউনিটির আন্দোলন তোলার জন্য সরকারপক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছিল, আরজিকরের এই আন্দোলনের ক্ষেত্রেও সরকার একই পদক্ষেপ করবে। সেই সম্ভাবনার খবর সম্প্রচারিত করেছিল TV9 বাংলা। ঘটনাচক্রে দেখা যায়, জনৈক এক ব্যক্তি আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বলা হয়, অতিমারি পরিস্থিতিতে হাসপাতালে এইভাবে আন্দোলন চালানো যায় না। জুনিয়র চিকিত্সকরা সেই কাজটাই করছেন। এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র চিকিত্সকরা কর্তৃপক্ষকে একটা বার্তা দিয়ে রাখলেন, যে তাঁরা আন্দোলনে আছেন, কর্মবিরতিতে নেই।

হাসপাতালের ডেপুটি স্পিকার বলেন, “দু-তিন দিনের মধ্যে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। পিজিটিরা কাজে যোগ দিয়েছেন। বাড়তি রোগী ভর্তি হচ্ছেন। সংখ্যাটা ৭৫-১০০। যদিও এখনও হাসপাতালের অনেক বেড খালি রয়েছে। কোনও ওয়ার্ডেই ভর্তি হতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।”

আরও পড়ুন: ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুলের তালা, বড় ঘোষণা মমতার