R G Kar: কুণাল ঘোষ মিথ্যা বলছেন! এবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিস্ফোরক আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা
R G Kar: প্রসঙ্গত, প্রায় ২২ ঘণ্টা অবস্থানের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে আন্দোলকারী চিকিৎসকরা স্মারকলিপি তুলে দেন।
প্রসঙ্গত, প্রায় ২২ ঘণ্টা অবস্থানের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে আন্দোলকারী চিকিৎসকরা স্মারকলিপি তুলে দেন। তারপরই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে দাবি করেন, “আজ সকালে আন্দোলনকারীদের তরফে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের তরফে বলা হয় নির্দিষ্ট কিছু কারণে লালবাজারের ধরণা এগোন ঠিক হবে না। তাঁরা আজই এখনই নগরপাল ইস্তফা না দিলে উঠবেন না, এই দাবিতে অনড় থাকবেন না। পরে ইস্তফা দিলেও হবে। আজ শুধু নগরপালের হাতে স্মারকলিপি দিয়ে দেখা করতে চান। তারপর রাজপথ থেকে ধরনা তুলে নেবেন।” তিনি দাবি করেন, এক সংবাদমাধ্যমের অফিসেই জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। মুহূর্তে তাঁর বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েও পড়ে।
তার প্রেক্ষিতেই জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রেস মিট করে স্পষ্ট করে দেন, “আন্দোলনের যা মূল সুর, তা অরাজনৈতিক। সংবাদমাধ্যমে যা উঠে এসেছে, তা আন্দোলনের মূল সুরের সমর্থক নয়।” এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, “এক সংবাদমাধ্যমে আমাদের ছবি দেখানো হয় এই বলে যে, আমরা নাকি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি হিসাবে মধ্যস্থতা করতে এসেছি। এটা মিথ্যা।”
তাঁর বক্তব্য, “বিগত তিন সাড়ে তিন বছর ধরে আমাদের ওপর সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর বাহিনীর দ্বারা আমরা যেভাবে অত্যাচারিত হয়েছিল, সেটাই আমরা ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলাম। তাঁরাই আমাদের আমন্ত্রণ করেছিলেন। সেখানে কাকতালীয়ভাবে কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা হয়। তিনি ডেকে আতিথেয়তা করেন। আমরা কোনওভাবেই WBJDF, আন্দোলনকারীদের মধ্যস্থতাকারী হিসাবে যায়নি।লালবাজার অভিযান ও তার পরিণতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আমাদের মধ্যে যে আলাপচারিতা হয়েছে, সেটা বড়জোর ২ থেকে ৩ মিনিট। না জানিয়ে ছবি তোলা হয়েছে। সেটা নিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে।”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)