R G Kar: ‘সন্দীপ দেন মমতাকে খাম’, আরজি করে হামলার ঘটনায় রাম-বাম যোগ তত্ত্ব খাঁড়া করতেই মমতাকে পাল্টা তোপ শুভেন্দুর, সুজন বললেন, ‘মানুষ হাসছে…’
R G Kar: শুভেন্দুর কথায়, "সন্দীপ ঘোষের তো গুণের শেষ নেই। ২০২১ সালে ভালো পা-টাকে ব্যান্ডেজে জড়িয়েছিলেন ওঁ। একটা সীমাহীন কৃতজ্ঞতা বোধ রয়েছে। চিৎকার করে বলে বেড়াচ্ছেন রাম-বাম, বাম-রাম। রাম-বাম, সন্দীপ ঘোষ দিতেন খাম। "
কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে পথে নেমে বাম-বিজেপির বিরুদ্ধে সুর আরও চড়া করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি করে হামলার ঘটনাতে আরও একবার বাম বিজেপিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিনি। কারসাজি করে প্রমাণ লোপাট করেছে সিপিএম বিজেপিই, অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা তাতে সরব বাম-বিজেপি। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করলেন, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খাম দিতেন। আরজিকরের হামলায় বামেরা যুক্ত নয় বলেও স্পষ্ট দাবি করলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, অশোকনগর থেকে গুন্ডা এনে হামলা চালানো হয়েছে।
শুভেন্দুর কথায়, “সন্দীপ ঘোষের তো গুণের শেষ নেই। ২০২১ সালে ভালো পা-টাকে ব্যান্ডেজে জড়িয়েছিলেন ওঁ। একটা সীমাহীন কৃতজ্ঞতা বোধ তো রয়েছে তাঁর। চিৎকার করে বলে বেড়াচ্ছেন রাম-বাম, বাম-রাম। রাম-বাম, সন্দীপ ঘোষ দিতেন খাম। ”
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে শুক্রবার পথে নামেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৌলালি থেকে ডরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করেন তিনি। মিছিল শেষে বক্তৃতা রাখার সময়ে আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনায় রাম-বিজেপির আঁতাতের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
মমতা বলেন, “গেছিলেন তো আরজি করে প্রমাণ লুঠ করতে। রাতের বেলায়। কিন্তু ভুলক্রমে, ছোট্ট একটা ভুলে থার্ড ফ্লোর বলে সেকেন্ড ফ্লোরে চলে গিয়েছিলেন। আমি প্রেসের থেকে শুনেছি। সেখানে গিয়ে দুটো ফ্লোর ভাঙচুর করেছেন। জীবনদায়ী ওষুধ নষ্ট করেছেন। আপনারা জানেন না একটা হাসপাতাল তৈরি করতে রোগীর জন্য কত টাকা লাগে। ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি থেকে ১০০ কোটিও হতে পারে। দেবেন তো টাকাটা সিপিএম-বিজেপির বন্ধুরা?” আরজিকর-কাণ্ডে জাতীয় পতাকা হাতে বিজেপি তাণ্ডব চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা।
মমতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মিথ্যার পর মিথ্যা বলো, সত্য বলার যোগ্যতা নেই। যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, দুর্ভাগ্য আমাদের, মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু তারপর থেকে রাস্তায় নামেননি। রাস্তায় নামলেন কখন? যখন একেবারেই ধরা পড়ে গিয়েছেন। গোটা বাংলার মানুষ ১৪ অগস্ট রাস্তায় নেমেছেন, যা দেখেছেন, যা বুঝেছেন, তার আগে ম্যনটনের সভা থেকে বলে দিয়েছিলেন, যা বলেছিলেন, সেই অনুযায়ী কাজ হয়েছে। ওঁর আজকে বলা উচিত ছিল, পুলিশ কী করছিল? পুলিশের মন্ত্রী কে? পুলিশ কমিশনারকে খারিজ করেননি কেন? তা না করতে পেরেই অসত্য কথা বলছেন। মানুষ হাসছে।”
আরজি কর কাণ্ডের রেশ ইতিমধ্যেই রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় স্তরে পৌঁছেছে। সাংবাদিক বৈঠক করেন স্মৃতি ইরানি। মূল ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই ঘটনার আর কারা জড়িত পুলিশের কাছে যদি তথ্য থাকে, সেই তথ্যের ভিত্তিতে কী তদন্ত করেছে? আর কতজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ? এই বিষয়ের তথ্য তো চিকিৎসকদের কাছে রয়েছে, সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে, নিগৃহীতার বাবা-মা, এমনকি এখন আদালতের কাছেও রয়েছে।” কলকাতা সিপি-র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।