রাজধানী এক্সপ্রেস হাইজ্যাক: ছত্রধরকে গ্রেফতারের পর ডাকা হতে পারে রাজ্য পুলিশের দুই অফিসারকে

কলকাতা: রাজধানী এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের ঘটনায় নতুন করে তৎপর এনআইএ (NIA)। রাজ্য পুলিশের দুই আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। রবিবার এই মামলায় ছত্রধর মাহাতোকে (Chhatradhar Mahato) গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই ঘটনায় নতুন করে দুই অফিসারকে তলব করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

২০০৯ সালের ওই ঘটনায় যে তদন্তকারী অফিসারেরা ছিলেন তাদের আগেই তলব করেছিল এনআইএ। একজন অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও বাকি দু’জন আসেননি সেই সময়। এবার ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতারের পর ফের ডাকা হতে পারে তাঁদের। জানা গিয়েছে সেই সময় তাঁরা ইন্সপেক্টর পদে থাকলেও এই মুহূর্তে তাঁরা ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার। এই ঘটনায় জেরা করতে চেয়ে আগেই রাজ্য পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল বলে এনআইএ সূত্রে দাবি। চিঠি দেওয়ার পর একজন অফিসার আসেন কিন্তু বাকি দু’জন হাজির হননি। সেই দুই তদন্তকারী অফিসারকে এবার জেরার জন্য ডাকা হতে পারে। এছাড়া ওই ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় ছত্রধর মাহাতো ছাড়া আরও দুতিনজন রয়েছেন বলেও এনআইএ সূত্রে খবর।

রবিবার গ্রেফতার করা হলেও ছত্রধর মাহাতো কে জেলা করে সন্তুষ্ট নয় এনআইএ। করেছিলেন, এমন তথ্য জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। আর সেই কারণেই ছত্রধরকে গ্রেফতার করে এনআইএ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ছত্রধর জেলে থাকাকালীন পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনগণের কমিটির কয়েকজন সদস্য জেলে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে। তখনই ঠিক হয় কীভাবে অপারেশন হবে। সেই বিষয়েই জেরা করা হচ্ছে। সদুত্তর না পেলে ছত্রধরকে হেফাজতে নিয়ে গ্রামবাসী ও তৎকালীন পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনগণের কমিটির সদস্যদের ডেকে ছত্রধরের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

আরও পড়ুন: জেরায় সন্তুষ্ট নয় এনআইএ, কমিটির সদস্যদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে ছত্রধরকে

২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর। তখন ছত্রধর জেলে। ছত্রধরের মুক্তির দাবিতে ঝাড়গ্রামের বাঁশতলা স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস আটকানোর অভিযোগে ছত্রধরের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলারই পুনর্তদন্ত চেয়ে আদালতে গিয়েছিল এনআইএ। আদালত তাদের তা করার নির্দেশ দেয়।