Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Recruitment Scam: ‘আরও টাকার দাবি, না দিতে পারলে আটকে যাবে চাকরি, নয়তো গ্রেফতারি’, জনৈক অভিষেক কীভাবে চাপ বাড়াতেন, চার্জশিট সবটা বলল সিবিআই

Recruitment Scam: সিবিআই বলছে, ২০১৭ সালে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে একটি বৈঠক হয়েছিল।  কথোপকথনের একটি অডিয়ো ক্লিপের ভিত্তিতেই চার্জশিটে সিবিআই-এর এই দাবি। তাতে এই মামলায় অভিযুক্ত আরও দু'জন কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে কথোপকথনের এই অডিয়ো ক্লিপ।

Recruitment Scam:  'আরও টাকার দাবি, না দিতে পারলে আটকে যাবে চাকরি, নয়তো গ্রেফতারি', জনৈক অভিষেক কীভাবে চাপ বাড়াতেন, চার্জশিট সবটা বলল সিবিআই
সিবিআই-এর চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্যImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 26, 2025 | 4:51 PM

কলকাতা: সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর অডিয়োতে জৈনক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণের কন্ঠস্বর পরীক্ষা করে জমা দেওয়া চার্জশিটে এক অডিয়ো ক্লিপের ভিত্তিতে এমনই দাবি করেছে সিবিআই।  প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যের নামও উল্লেখ করতে শোনা গিয়েছে ওই অডিয়ো ক্লিপে, এমনটাই দাবি।

 ২০১৭ সালের একটি বৈঠক

সিবিআই বলছে, ২০১৭ সালে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে একটি বৈঠক হয়েছিল।  কথোপকথনের একটি অডিয়ো ক্লিপের ভিত্তিতেই চার্জশিটে সিবিআই-এর এই দাবি। তাতে এই মামলায় অভিযুক্ত আরও দু’জন কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে কথোপকথনের এই অডিয়ো ক্লিপ। সেই কথোপকথনের বিষয়টিই চার্জশিটে বিশদে উল্লেখ করেছে সিবিআই।

‘১৫ কোটি দাবি করেছিলেন জনৈক অভিষেক’

সিবিআই-এর চার্জশিটের ১২ নম্বর পাতায় উল্লেখ করা রয়েছে, ওই অডিয়ো ক্লিপের কথোপকথনে সুজয়কৃষ্ণকে বলতে শোনা গিয়েছে, এর মধ্যেই কনফর্মড বেআইনি নিয়োগের জন্য ১৫ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন অভিষেক। সুজয়কৃষ্ণ তখন বলেছিলেন, তিনি ওই টাকা দিতে অপারগ। কারণ, আগেই প্রার্থী পিছু সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়ে গিয়েছে। আর টাকা তিনি তুলতে পারবেন না। ক্লিপে সুজয়কৃষ্ণকে বলতে শোনা গিয়েছে, তাঁর কথা শুনে ওই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ আটকে দেওয়ার জন্য বলেছিলেন অভিষেক, অন্যথায় ওই প্রার্থীদের গ্রেফতার করিয়ে দেওয়া হবে বলেও বলা হয়েছিল।

‘১০০ কোটি তোলার টার্গেট’

চার্জশিটে ঠিক পরবর্তী পাতায় অর্থাৎ ১৩ নম্বর পাতায় সিবিআই উল্লেখ করে,  সুজয়কৃষ্ণ-শান্তনু-কুন্তলদের টার্গেট ছিল আরও ১০০ কোটি তোলার। সেই কারণে,  সুজয়কৃষ্ণ, শান্তনু এবং কুন্তল মিলে আরও দু’হাজার চাকরিপ্রার্থীর থেকে নিয়োগের নামে টাকা তোলার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

টাকা ভাগ বাঁটোয়ারা প্রসঙ্গ

সিবিআই-এর চার্জশিটে উল্লেখ, এই ১০০ কোটির মধ্যে ২০ কোটি টাকা করে মাথা পিছু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী,  মানিক ভট্টাচার্য, জনৈক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছে সুজয়কৃষ্ণের মুখে। আর বাকি যে ৪০ কোটি টাকা থাকবে, তা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাঁটোয়ারা করে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সুজয়কৃষ্ণদের। উল্লেখ্য, এই গোটা বিষয়টিই সুজয়কৃষ্ণের মুখেই অডিয়ো ক্লিপে শোনা গিয়েছে।

নাম-ধোঁয়াশা

যেহেতু সিবিআই-এর চার্জশিটে জনৈক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নামটাই কেবল উল্লেখ রয়েছে, তাই তিনি কে? তা নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।  পক্ষান্তরে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, মানিক ভট্টাচার্য, শান্তনু কিংবা কুন্তল-প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই তাঁদের নির্দিষ্ট ‘আইডেন্টিটি’ উল্লেখ করা হয়েছে।

ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের আইনজীবীর প্রতিক্রিয়া

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু। তিনি বলেছেন, “আমার মক্কেল ইডি-সিবিআই তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। এরপরও সিবিআই ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। মরিয়া হয়েই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিষেকের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করছে সিবিআই।”