RG Kar: সেমিনার হলের ২০০ মিটারের মধ্যে ঘর ভাঙা শুরু! ‘তিলোত্তমা’ তদন্তে প্রমাণ লোপাট?
RG Kar: এর আগেই এই মামলায় পুলিশের গাফিলতি অভিযোগ উঠছিল। যদিও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু সিপি বারবার জানিয়েছেন তদন্ত দ্রুততার সঙ্গে হচ্ছে। এরপর আজ এই মামলা সিবিআইকে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা: চিকিৎসকদের রেস্ট রুম নেই! এই অভিযোগের পরই কলকাতা পুরসভা তৎপর হয় রেস্ট রুম বানানোর। এবার সেই রেস্ট রুম তৈরি ঘিরে তুমুল বিতর্ক। আরজি করের সেমিনার হল লাগোয়া ঘর ভেঙে শুরু হল সংস্কারের কাজ। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা। কারণ এই সেমিনার হল থেকেই উদ্ধার হয়েছিল নির্যাতিতার দেহ। সিবিআই তদন্তের আগেই কেন শুরু হল সংস্কারের কাজ? প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা? প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।
এর আগেই এই মামলায় পুলিশের গাফিলতি অভিযোগ উঠছিল। যদিও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু সিপি বারবার জানিয়েছেন তদন্ত দ্রুততার সঙ্গে হচ্ছে। এরপর আজ এই মামলা সিবিআইকে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সিবিআই সেই তদন্ত শুরুর আগেই শুরু হয়ে গেল রেস্ট রুম তৈরির কাজ। সেমিনার হলের মাত্র ২০০ মিটারের মধ্যে ঘরগুলি ভেঙে চিকিৎসকদের রেস্ট রুম তৈরির কাজ শুরু হয়।
জানা যাচ্ছে, ঘটনা ঘটেছে ৯ তারিখ। আর ১০ তারিখ রাত থেকে এই কাজ শুরু হয়। এত তথ্য প্রমাণ নষ্ট হবে না? আজ দুপুরে জাতীয় মহিলা কমিশন এসে সেই কাজ দেখে তাজ্জ্ব বনে যান। এরপরই কর্তব্যরত এসিপি-কে জাতীয় মহিলা কমিশনের আধিকারিকরা ডেকে আনেন। তখনই তাঁরা ‘স্টপ ওয়ার্ক’ করে দেয়। মহিলা কমিশনের আশঙ্কা এই ভাঙাভাঙির জেরে নষ্ট হতে পারে প্রমাণ। যদি সিবিআই-এর কোনও প্রমাণ দরকার হয় তাহলে কীভাবে মিলবে সেটি? আন্দোলনরত এক চিকিৎসক পড়ুয়া বলেন, “আমরা প্রথম থেকে দেখছি কলকাতা পুলিশ তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সাতদিন প্রমাণ চাইছেন। তার মধ্যে তো তথ্য প্রমাণ লোপাট হতেই পারে।