Kolkata Rape Case: হাসপাতালেই আলাপ, তারপর নিয়ে যাওয়া হয় ফাঁকা বাড়িতে, গ্রেফতার আরজিকরের চিকিৎসক
Kolkata Rape Case: নার্সিং-এর ছাত্রীকে বিয়ে করার কথা বলেছিলেন ওই চিকিৎসক। এমনটাই দাবি অভিযোগকারিণীর। পরে তা অস্বীকার করেন চিকিৎসক।
কলকাতা : বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার আরজিকর হাসপাতালের চিকিৎসক। বুধবার ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে লেকটাউন থানার পুলিশ। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ এনেছেন তিনি বিএসসি নার্সিং-এর ছাত্রী বলে পুলিশ সূত্রে খবর। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণ ও প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
আরজিকর হাসপাতালেই ওই চিকিৎসক ও নার্সিং-এর ছাত্রীর আলাপ হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপর সম্পর্কের সূত্রপাত। বিএসসি নার্সিং এর ছাত্রী বীরভূমের সিউড়ির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে, আর চিকিৎসক থাকেন কলকাতায়।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালে। নার্সিং-এর ওই ছাত্রীর পিসি শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেই সময় ওই চিকিৎসক চিকিৎসা করেছিলেন তাঁর। সেই সূত্রেই ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় চিকিৎসকের। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা সংক্রান্ত কথাবার্তা শুরু হলেও পরে ব্য়ক্তিগত স্তরে সম্পর্ক তৈরি হল। প্রথমে পরিচয় ও পরে ফোন নম্বর আদান-প্রদান হয়ে দুজনের মধ্যে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্য়ে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওই ছাত্রী।
অভিযোগ, ওই চিকিৎসক নার্সিং-এর ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ক্রমশ ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন তাঁরা। পাতিপুকুরে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন ওই চিকিৎসক। সেই ভাড়া বাড়িতে নার্সিং-এর ছাত্রীকে একাধিকবার নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তী সময়ে ওই নার্সিং পড়ুয়া তাঁকে বিয়ের কথা বললে তিনি বিয়ে করতে রাজি হননি বলেই দাবি তাঁর। দিনের পর দিন চেষ্টা করা সত্ত্বেও চিকিৎসক বিয়ে করতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্রী।
গত ২৮ জুন লেকটাউন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৭ নম্বর ধারা (প্রতারণা), ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে বিধান নগর মহকুমা আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।