RG Kar Hospital: সত্যিই লাশ লোপাট হত? RG Kar-কে আরও চাপে ফেলে দিল CBI
RG Kar Hospital: সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হিসাবে আরজি কর অন্যতম। কলকাতা বা জেলা থেকে অনেক রোগী (পথ দুর্ঘটনা, গুলি বিদ্ধ,উপর থেকে পড়ে যাওয়া ) আসেন হাসপাতালে। কারও-কারও মৃত্যু হয় সেখানেই। এই ধরনের রোগীর মৃত্যু হলে হাসপাতালের মর্গেই ময়না তদন্ত হয়।
কলকাতা: তিলোত্তমার ঘটনার পর থেকেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের একের পর এক দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। তার তদন্তে নেমেছে সিবিআই। এই পরিস্থিতিতে আরজি করে গত দু’বছরে কতগুলো অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তার এবার তালিকা চেয়ে পাঠাল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কিন্তু কেন এই তথ্য চাইলেন গোয়েন্দারা?
মূলত, ২০২১ সাল থেকে সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষ পদ পাওয়ার পর থেকেই আরজি করের দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অভিযোগ হল মর্গ থেকে দেহ লোপাট। সেই দেহ লোপাটের তদন্তে নেমেই গত দু’বছরে আরজি কর হাসপাতালে কতগুলি অস্বাভিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তা জানতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সিবিআই আধিকারিকরা তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে।
কী ধরনের অস্বাভাবিক মৃত্যু?
সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হিসাবে আরজি কর অন্যতম। কলকাতা বা জেলা থেকে অনেক রোগী (পথ দুর্ঘটনা, গুলি বিদ্ধ,উপর থেকে পড়ে যাওয়া ) আসেন হাসপাতালে। কারও-কারও মৃত্যু হয় সেখানেই। এই ধরনের রোগীর মৃত্যু হলে হাসপাতালের মর্গেই ময়না তদন্ত হয়। ফলে আরজি কর কর্তৃপক্ষ কাছে সেই সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকার কথা। সেই সঙ্গে ওই অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে কত দেহ চিহ্নিত হয়ে পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে, এবং কত দেহ শনাক্তকরণ না হয়ে মর্গে থেকে গিয়েছে সেই তালিকা চেয়েছে সিবিআই। এর পাশাপাশি শনাক্ত হয়নি এমন দেহ কতদিন পরে দাহ করা হয়েছে? কার নির্দেশেই বা দাহ করা হয়েছে? তার তথ্যও চেয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। একই সঙ্গে শনাক্ত হয়নি এমন দেহ দাহ করার আগে নিয়ম অনুযায়ী, পোশাক,জুতো এবং ডিএনএ স্যাম্পল সংরক্ষণ করা হয়েছে কি না জানতে চেয়েছেন গোয়েন্দারা। অর্থাৎ গোয়েন্দা আধিকারিকরা বুঝতে চাইছেন অশনাক্ত কোনও দেহ লোপাট হয়েছে কি না। আর এই তথ্য হাতে পেলে তদন্তে আরও সুবিধা হবে বলেই মনে করছে এজেন্সি।