RG Kar: ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদ্যোপান্ত বুঝিয়ে বললেন প্রাক্তন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ

RG Kar: প্রশ্ন উঠছে, তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে। একজন অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও, প্রশ্ন উঠছে, ঘটনার পিছনে আর কি কারও হাত ছিল না? ময়নাতদন্তের সেই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেয়েছে টিভি ৯ বাংলা। এবার এই রিপোর্ট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রাক্তন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয় গুপ্ত।

RG Kar: ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদ্যোপান্ত বুঝিয়ে বললেন প্রাক্তন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ
অজয় গুপ্ত, প্রাক্তন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 19, 2024 | 10:51 PM

কলকাতা: আরজি করের ঘটনায় নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের পর কয়েক ঘণ্টার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। সেই মৃত্যু একের পর এক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে। একজন অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও, প্রশ্ন উঠছে, ঘটনার পিছনে আর কি কারও হাত ছিল না? ময়নাতদন্তের সেই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেয়েছে টিভি ৯ বাংলা। এবার এই রিপোর্ট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রাক্তন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয় গুপ্ত।

প্রশ্ন: মৃত্যুর কারণে বলা হয়েছে গলা ও নাক-মুখ টিপে শ্বাসরোধ করা হয়েছে। কী ধরনের আঘাত এসেছ?

অজয় গুপ্ত: শরীরে বিভিন্ন ধরনের অ্যাব্রেশন, ব্রুজ রয়েছে। এছাড়া আরও যা সব রয়েছে তা হল নির্যাতন। কিল-চড়-ঘুষি হতে পারে।

প্রশ্ন: দেহের কোথায়-কোথায় আঘাত?

অজয় গুপ্ত: মাথার বাইরে আঘাত রয়েছে। ভিতরেও আঘাত আছে।

প্রশ্ন: কী ভাবে হল?

অজয় গুপ্ত: কিল-চড়-ঘুষির জন্য হয়েছে?

প্রশ্ন: এর অর্থ কী?

অজয় গুপ্ত: মনে হচ্ছে তিলোত্তমাকে মাথায় সজোরে ঘুষি মারা হয়েছিল। কিল মারাও হতে পারে।

প্রশ্ন: দেহের অন্যান্য অংশের আঘাত কীভাবে?

অজয় গুপ্ত: ভারী বস্তু দিয়ে মারলে এই আঘাত হতে পারে। নৃশংস ঘটনা। আবার নাক মুখ চেপে ধরলেও হবে। নখের দাগও রয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় একাধিক ব্যক্তি করে থাকতে পারে।

প্রশ্ন: দোষীকে চিহ্নিত করার জন্য এই ময়না তদন্তের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে কী ধরনের পরীক্ষার প্রয়োজন?

অজয় গুপ্ত: ময়না তদন্তের রিপোর্টে যা যা আঘাতের কথা লেখা হয়েছে সেগুলো আরও অনুধাবন করত হবে। যে যে আর্টিকেল সংরক্ষিত করা হয়েছে সেগুলো রিপোর্টের সঙ্গে মিলিয়ে ফাইনাল রিপোর্ট তৈরি করলে বোঝা যাবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে।

প্রশ্ন: একজন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। সে প্রকৃত অপরাধী কি না জানতে তার দেহে কি কোনও প্রমাণ থাকবে যা পরীক্ষা করলে জানা যাবে সে আসল দোষী কি না?

অজয় গুপ্ত: ওর যা যা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, সেগুলো দেখে এবং অভিযুক্তের সংরক্ষিত আর্টিকেল মিলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে। অর্থাৎ মহিলার শরীরে যা মিলছে নখের দাগ, তা যদি অভিযুক্তের কোষের সঙ্গে মেলে তাহলে বোঝা যাবে সে অভিযুক্ত।