AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Durga Puja 2021: থিম পুজোয় জুতোর ব্যবহার, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে সরব শুভেন্দু, তথাগতরা

Durga Pujo: "থিমের নামে মণ্ডপে জুতোর ব্যবহার কদর্য হিন্দু বিরোধী পদক্ষেপ। শিল্পীর স্বাধীনতার মানে যা খুশি তাই নয়। দেশ ও রাজ্যকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেই হবে।''

Durga Puja 2021: থিম পুজোয় জুতোর ব্যবহার, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে সরব শুভেন্দু, তথাগতরা
হিন্দু ধর্মকে অপমান করা হয়েছে, অভিযোগ পুজো উদ্য়োক্তাদের বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Oct 09, 2021 | 5:43 PM
Share

কলকাতা: প্রতিবার থিমে তাক লাগায় দমদম পার্ক ভারত চক্র পুজো কমিটি। এবারের দুর্গা পুজোয় (Durga Puja 2021) তারা থিমের মাধ্যমে তুলে ধরেছে কৃষক আন্দোলনের ইতিহাস। আর তাই নিয়ে শুরু হল তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক আইনজীবী।

অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আবেদন জানালেন শুভেন্দু অধিকারী, অমিত মালব্যরা। তাঁদের অভিযোগ, জুতো দিয়ে মণ্ডপ সাজিয়ে ন্যক্কারজনক আচরণ করেছে দমদম পার্কের ওই পুজো কমিটি। হিন্দুদের অপমান করা হয়েছে। এমনকি এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি দফতরে আধ ঘণ্টার বেশি আলোচনাও হয়।

ঠিক কী ঘটেছে?

দমদম পার্ক ভারত চক্র পুজো কমিটির এবারের পুজোর থিম ‘ধান দেব না, মান দেব না’। সেখানে প্যান্ডেলের একটি অংশ সাজানো হয়েছে জুতো দিয়ে। আর এতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। এদিন সকালেই ওই পুজো কমিটিকে আইনি নোটিস দেন জনৈক আইনজীবী পৃথ্বীজয় দাস। জুতো দিয়ে পুজো মণ্ডপ কেন তৈরি করা হয়েছে, তাই জানতে চাওয়া হয়েছে এই নোটিসে। আইনজীবীর অভিযোগ, এতে সনাতনী হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করা হচ্ছে। অসম্মান করা হচ্ছে দুর্গাকে। অবিলম্বে এই পুজো মণ্ডপ থেকে জুতো সরানোর দাবি করেন তিনি।

এদিকে ভারত চক্র পুজো কমিটির সমালোচনায় সরব হয়েছে রাজ্য বিজেপি। শনিবার দুপুরে বিজেপির রাজ্য দফতরে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করেন তথাগত রায়। প্রায় ৩০ মিনিট এ নিয়ে আলোচনাও হয় তাঁদের। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তথাগত রায় বলেন, “থিমের নামে মণ্ডপে জুতোর ব্যবহার কদর্য হিন্দু বিরোধী পদক্ষেপ। শিল্পীর স্বাধীনতার মানে যা খুশি তাই নয়। দেশ ও রাজ্যকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেই হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “মণ্ডপে আজান সম্প্রীতির বার্তা, ঠিক যেমন মসজিদে পুজোর সময় মহিষাসুরমর্দিনী চালানো উচিত। কিন্তু জুতো রাখা মানে ভাবাবেগে আঘাত করা।”

এদিকে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইটারে দাবি করেন, শিল্পীর স্বাধীনতার নামে ঘৃণ্যভাবে মা দুর্গাকে এই অপমান সহ্য করা যায় না। তিনি রাজ্যের মুখ্য ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে এ নিয়ে পদক্ষেপ করার আর্জি জানান।

বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য আবার এ নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দুদের অপমানের জন্য এই কাজ করা হয়েছে।

যদিও এই সব অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। ক্লাবের সম্পাদক প্রতীক চৌধুরী টিভি নাইন বাংলাকে বলেন, “যে ভাবে জিনিসটাকে দেখানো হচ্ছে… একটি রাজনৈতিক দলের তরফে তা মোটেই ঠিক নয়। কৃষক আন্দোলন, সন্ন্যাসী আন্দোলন, তেভাগা, কৃষক আন্দোলন তুলে ধরা হয়েছে এই থিমের মাধ্যমে।” তাঁর দাবি, কৃষক আন্দোলনকে একটা জায়গায় বোঝাতে প্রতীকী ভাবে তাঁরা জুতোর ব্যবহার করেছেন। কিন্তু সেটা মূল মণ্ডপ থেকে দূরে। দুর্গা মূর্তির কাছে এমন কোনও সজ্জা হয়নি। সবটাকে নিয়ে মিছিমিছি বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

আরও পড়ুন: Tufanganj: পুজোর ১ দিন আগেই কলেজের সামনে থেকে উদ্ধার বোমা তৈরির সরঞ্জাম!