Rudranil Ghosh Interview: ‘দুয়ারে সরকারের প্ল্যান আমার’, মমতার ‘তুরুপের তাসকে’ ট্রামকার্ড রুদ্রনীলের!

Duare Sarkar: রুদ্রনীল বলেন, "আমি প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলাম। সেই সময় আমি প্রথম প্ল্যান তৈরি করি, প্রোজেক্ট বানাই যে বিধানসভা ভিত্তিক জায়গা থেকে একটি কিয়স্ক তৈরি করা দরকার। যেখান থেকে মানুষ আসবে সরকারের কাছে। তার দরখাস্ত জমা দেবে সরকারের কাছে এবং তার পরিষেবা মানুষ পাবেন।"

Rudranil Ghosh Interview: ‘দুয়ারে সরকারের প্ল্যান আমার’, মমতার 'তুরুপের তাসকে' ট্রামকার্ড রুদ্রনীলের!
দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ভাবনা রুদ্রনীলের, দাবি অভিনেতার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 03, 2022 | 12:19 AM

কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সাধের ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) প্রকল্প কার মস্তিস্কপ্রসূত? এতদিন পর্যন্ত এই প্রশ্ন উঠলে, জবাবে একটা নামই উঠে আসত। কিন্তু এবার সেই বিষয়টিকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা তথা বিশিষ্ট অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। ডঃ অরূপ রায় চৌধুরীর সঙ্গে যৌথভাবে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের পরিকল্পনা করছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। TV9 বাংলার কথাবার্তা অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই দাবি করলেন রুদ্রনীল। বলেন,” আমি প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলাম। সেই সময় আমি প্রথম প্ল্যান তৈরি করি, প্রোজেক্ট বানাই যে বিধানসভা ভিত্তিক জায়গা থেকে একটি কিয়স্ক তৈরি করা দরকার। যেখান থেকে মানুষ আসবে সরকারের কাছে। তার দরখাস্ত জমা দেবে সরকারের কাছে এবং তার পরিষেবা মানুষ পাবেন। ২০১৬ সালে আমি এবং ডঃ অরূপ রায় চৌধুরী মিলে এই প্ল্যানটা বানাই। আজকে যেটার নাম দুয়ারে সরকার।”

রুদ্রনীল ঘোষ যে মানুষের জন্য কাজ করার জন্য সবরকমভাবে চেষ্টা করেছিলেন, তা বোঝাতে কোনও খামতি রাখলেন না তিনি। রাজ্য সরকারের পদে থাকাকালীন কী কী কাজ করেছেন, তার সব খতিয়ান তুলে ধরলেন TV9 বাংলায়। ভোকেশনাল এডুকেশনের দায়িত্ব যখন তাঁর উপর ছিল, সেই সময়ের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে দলের একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পদ দিতে চেয়েছিলেন। সেই নিয়ে কথাও শুরু করেছিলেন। কিন্তু আমি তার থেকে বেশি উৎসাহিত ছিলাম এটায় (ভোকেশনাল এডুকেশন)। কারণ, দল মত নির্বিশেষে কাজ করা সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।”

রুদ্রনীল আরও বলেন, “যখন আমি কাজটা করা শুরু করি, ৮০ হাজার টাকা ছিল মাইনে। অনেকে বলেন গর্ব করি, অহংকার করি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের দর্শক ওই ৮০ হাজার টাকা আমায় চার দিনে আয় করিয়ে দিতেন শুটিং করে। তা সত্ত্বেও আমি মন দিয়ে কাজ করা শুরু করি। পাতা উল্টেই দেখি ২০০৬ সালের পর থেকে সিলেবাস বদলায়নি। আমি ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে এই সিলেবাস আপগ্রেড করাই। পশ্চিমবঙ্গের ডাব্লুবিসিএস অফিসাররাও খুব খুশি হয়েছিলেন। আমরা কাজ করা শুরু করে। এই সময় মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের সঙ্গে আমার বিবাদ বাধে। আমি কোনওদিন দালাল হতে পারিনি। কিন্তু এখনও যে সিলেবাসটা চলছে, তার উদ্যোগ আমারই ছিল।”

পরবর্তী সময়ে যখন তিনি রাইট টু পাবলিক সার্ভিস কমিশনার হিসেবে কাজ করার সময় প্রসঙ্গে বলেন, “কমিশনের কাজ ছিল দুর্নীতিমুক্ত করা। যদি স্বচ্ছতার সঙ্গে রাইট টু পাবলিক সার্ভিস কমিশন কাজ করা শুরু করে, তাহলে দালালচক্র বন্ধ হয়ে যেত। তাই আমার বিরোধিতা করা শুরু করেন। আমার হাতে যে ক’জন আধিকারিক ছিলেন, তাঁদের দুর্বল করে দেওয়া হয়। আমি তো একা কাজ করতে পারি না।”

আরও পড়ুন : Congress Protest in Kolkata: বাড়ছে জ্বালানির জ্বালা! রাজভবনের সামনে ঘোড়ায় চেপে অভিনব প্রতিবাদে কংগ্রেস