Sabyasachi Dutta Exclusive Interview : কেন তৃণমূল ছেড়েছিলেন! কার জন্য! জানালেন সব্যসাচী

Sabyasachi Dutta Exclusive Interview : দুই বছরের মধ্যে ঘর ওয়াপসির জন্য বঙ্গ রাজনীতির বড় চর্চিত মুখ ছিলেন তিনি। তাঁর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে কম জলঘোলাও হয়নি রাজ্য রাজনীতিতে। কেন তৃণমূল ছেড়েছিলেন! কার জন্য! জানালেন সব্যসাচী

Sabyasachi Dutta Exclusive Interview : কেন তৃণমূল ছেড়েছিলেন! কার জন্য! জানালেন সব্যসাচী
কথাবার্তা অনুষ্ঠানে সব্যসাচী দত্ত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 05, 2022 | 11:54 PM

কলকাতা : দুই বছরের মধ্যে ঘর ওয়াপসির জন্য বঙ্গ রাজনীতির বড় চর্চিত মুখ ছিলেন তিনি। তাঁর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে কম জলঘোলাও হয়নি রাজ্য রাজনীতিতে। দমকল মন্ত্রীর সঙ্গে মান-অভিমানের কথাও উঠে এসেছিল সংবাদ শিরোনামে। এক সময় বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর পুরোনো পদে শপথ গ্রহণ করেছেন তৃণমূল নেতা কৃষ্ণা চক্রবর্তী। এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেন সব্যসাচী দত্ত। সম্প্রতি তিনি বিধাননগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। এই পদে বহাল হওয়ার পর টিভি৯ বাংলায় প্রথম এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিলেন তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। তাঁর তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া নিয়ে অনেক জল্পনা ছিল। কিন্তু কী কারণে তাঁর এই পদক্ষেপ! এর পিছনে কোন সত্যি লুকিয়ে ছিল! তা খোলাখুলি জানালেন টিভি৯ বাংলাকে।

সব্য়সাচী দত্ত এই সাক্ষাতে বারবার দাবি করেছেন তৃণমূল দলটা ছিল অনেকটা পরিবারের মতো। তিনি সেই পরিবার ছেড়ে ২০১৯ সালে তৃণমূল ছেড়ে দেন। ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর অমিত শাহের উপস্থিতিতে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন। তবে কেন এই পরিবার ছেড়ে যাওয়া সেই নিয়েও খোলাখুলি জানালেন তিনি। এর উত্তর দিতে গিয়ে মমতার জয়গানই করলেন সব্য়সাচী। তিনি বলেছেন,”স্থানীয় স্তরে কিছু মতানৈক্য নিশ্চয় হয়েছিল। সেই মতানৈক্য় থেকে মতান্তর। এবং তার পরে বেরিয়ে যাওয়া।”

টিভি৯ বাংলা ডিজিটালের এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্য কথাবার্তা অনুষ্ঠানে সব্যসাচী দত্তের উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্ন করেন যে এই মতানৈক্যে সুজিত বসুর কোনও ভূমিকা রয়েছে? তিনি জবাব দিয়েছেন, “না, বললে মিথ্যে বলা হবে। কিছুটা তো নিশ্চয় ছিল।” সব্যসাচী তৃণমূল দলটিকে বলেছেন অনেকটা পরিবারের মতো। তাহলে এক পরিবারে থেকেও দুই সদস্য সব্য়সাচী দত্ত এবং সুজিত বসুর মধ্যে দ্বন্দ্বটা কোথা থেকে শুরু হল। এই প্রশ্ন তো স্বভাবতই উঠে আসে। তিনি বলেছেন, “বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র থাকাকালীন কিছু কঠোর পদক্ষেপ আমাকে নিতে হয়েছে।” তিনি বলেছেন,”আমি মনে করি ফুটপাত পথচারীদের জন্য। এই মর্মে মহামান্য আদালতও রায় দিয়েছে। করুণাময়ীতে আজকে যেখানে বইমেলা হচ্ছে। সেখানে সীমানা প্রাচীর আমি কোনওদিন দেখতে পাইনি। পুরো দখল হয়ে গিয়েছিল।” তাঁর কথা থেকে বোঝা যায়, বিধাননগরের পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে তাঁর এবং সুজিত বসুর মধ্যে মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি বলেছেন, “পাঁচটি বাড়ি এবং দশটা দোকানের জন্য আপনি ৫০ হাজার লোককে অসুবিধায় ফেলছেন। নতুন করে এটি সমস্যা তৈরি করবে। শেষ পর্যন্ত আমরা কথাতেই ওঁরা মান্যতা দিল। পাঁচটা বাড়ি হয়ত আমাকে ভাঙতে হয়েছে বাধ্য হয়ে।”

তিনি বলেছেন, “আমি মনে করেছি যে সমাজের প্রতি একটি দায়বদ্ধতা রয়েছে। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আমায় পূরণ করার জন্য আমার লক্ষ্য ছিল ব্যক্তিস্বার্থকে ত্বরান্বিত না করে আইনের মধ্যে থেকে কাজ করা যাতে সমষ্টিগতভাবে জনসাধারণকে আমি পরিষেবা দিতে পারি।” তবে তিনি এও জানিয়েছিলেন যে, সুজিত বসু তাঁর পুরনিগমের কাজে কোনওদিন হস্তক্ষেপ করেনি।

আরও পড়ুন : Sabyasachi Dutta Exclusive Interview : সাত সকালে মমতার ফোন, দিদির গলা চিনতেই পারেননি…বলতে বলতেই কেঁদে ফেললেন সব্যসাচী