Saumitra Khan letter: ‘নজরুল মঞ্চে কী ভাবে পৌঁছল ৭০০০ লোক?’ তদন্তের দাবি জানিয়ে অমিত শাহকে চিঠি সাংসদের

Saumitra Khan letter: এসি যখন চলছিল না, তখন কী ভাবে অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হল? এমন একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

Saumitra Khan letter: 'নজরুল মঞ্চে কী ভাবে পৌঁছল ৭০০০ লোক?' তদন্তের দাবি জানিয়ে অমিত শাহকে চিঠি সাংসদের
শাহকে চিঠি সৌমিত্রের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 02, 2022 | 5:02 PM

কলকাতা : সঙ্গীত শিল্পী কেকে-র আকস্মিক মৃত্যুর ঘোর এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি কলকাতাবাসী। নজরুল মঞ্চে দু ঘণ্টার অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই কী ভাবে গায়কের মৃত্যু হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। রাজ্যের শাসক দল এই ঘটনায় কোনও বিতর্কের অবকাশ আছে বলে মনে করছে না। তবে এই ইস্যুতেই এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। নজরুল মঞ্চে পরিবেশ ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

বুধবার অমিত শাহকে এই চিঠি দিয়ে সাংসদ আর্জি জানিয়েছেন যাতে কেন্দ্রীয় সংস্থা এই ঘটনার তদন্ত করে মূল সত্য উদঘাটন করে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতার নজরুল মঞ্চে ছিল গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠান। আর সেখানেই উপস্থিত ছিলেন কেকে। একের পর এক গানও গান তিনি। তাঁর গান শুনতে ভিড় বাড়ে প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে। এত বেশি মানুষের উপস্থিতিতে এসিও ঠিকভাবে কাজ করছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে।

চিঠিতে যে যে বিষয়গুলোতে আলোকপাত করেছেন সাংসদ

১. নজরুল মঞ্চে যখন ৩০০০ লোকের জায়গা ছিল, তখন সেখানে ৭০০০ লোক পৌঁছল কী ভাবে?

২. ওখানে কোনও পুলিশ কর্মী কেন ছিলেন না?

৩. কনসার্টের জন্য অর্গানাইজাররা আগে থেকে আশপাশের কোনও থানায় খবর দিয়েছিলেন?

৪. নজরুল মঞ্চের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে কোনও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে? রিপোর্ট দেওয়া হলে সেটা কোথায়?

৫. ময়নাতদন্তের জন্য যখন নিয়ে যাওয়া হয় কেকে-র দেহ, তখন তৃণমূলের নেতারা সেখানে কী করছিলেন? শুভেন্দু অধিকারী গেলে তাঁকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি কেন?

৬. এসি যখন চলছিল না, তখন কী ভাবে অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হল?

শুধু সৌমিত্র খাঁ-ই নয়, বিজেপি প্রথম থেকেই দাবি করছে, মেরে ফেলা হয়েছে কেকে-কে। এই প্রসঙ্গে আর এক বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, কেকে-কে চক্রান্ত করে মেরে ফেলা হয়েছে। এটা হত্যা। একসময় অমিত শাহ বলেছিলেন, বাঙ্গাল মে যাওগে তো মারে যাওগে। আজ সে কথা উল্লেখ করে, দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, বাংলায় এসে লোকটা বেঘোরে মারা গেলেন। তবে রাজ্যের মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, এতে বিতর্কের কোনও কারণ নেই। তাঁর মতে, মানুষের মৃত্যু কখন হবে কেউ জানে না।