Sehgal Hossain: সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে ED! আগেভাগে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন সায়গল

Cattle Smuggling Case: সায়গল হোসেনকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। কিন্তু সেখানে ইডির আর্জি খারিজ হয়ে যায়।

Sehgal Hossain: সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে ED! আগেভাগে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন সায়গল
সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সায়গল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 12, 2022 | 2:05 PM

কলকাতা : গরু পাচার মামলায় সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যেতে মরিয়া এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে সেই আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েও ধাক্কা খেয়েছে ইডি। এবার সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন সায়গলের আইনজীবী। বুধবার শীর্ষ আদালতে সেই ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে। ইডি যাতে সুপ্রিম কোর্টে গেলেও একতরফা কোনও সুবিধা না পায়, তার জন্যই এই ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

কলকাতা হাইকোর্টে হার হয়েছে ইডি-র। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষীকে জেরা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। তাই ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয় সংস্থার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণেই আগেভাগে এই ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সায়গল হোসেন। ইডি সুপ্রিম কোর্টে গেলে, যাতে একতরফা শুনানি না হয়, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত সায়গলের।

অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষীর নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মেলে। এরপরই সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন সায়গল। তাঁকে জেরা করে গরু পাচার সংক্রান্ত অনেক তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলেই সিবিআই সূত্রে খবর। এই মামলায় সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতেও উল্লেখ করা হয়েছে, অনুব্রতর হয়ে গরু পাচারের টাকা নিতেন সায়গল। তাই তিনি যে এই মামলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, সেটা স্পষ্ট। সম্প্রতি সায়গলকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এরপরই দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানাচ্ছে ওই সংস্থা।

মঙ্গলবার ইডি-র আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। দিল্লির নিম্ন আদালত ইডির আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল আগেই। কিন্তু দিল্লিতে সেই বিষয়টি নিয়ে চ্যালেঞ্জ না করে, কেন কলকাতায় আবেদন করা হল, সেই প্রশ্ন তোলে আদালত। সঠিক প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট না থাকলে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সম্মতি থাকবে না বলেই জানিয়েছে আদালত। ইডি যে গরু পাচার মামলার তদন্ত করছে, তা হচ্ছে মূলত দিল্লিতে ইডি-র হেডকোয়ার্টার থেকে। তাই এরপর কী পদক্ষেপ করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত দিল্লি থেকে নেওয়া হবে বলেই সূত্রের খবর।

এদিকে, এই মামলায় বুধবার ফের তলব করা হয়েছে সায়গল হোসেনের স্ত্রীকে। এর আগেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। মূলত সায়গলের পরিবারের সম্পত্তিকেই আতস কাচের নীচে রাখছে ইডি। কী ভাবে একজন কনস্টেবল এত বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন, সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন।