Kaliaganj Case: কালিয়াগঞ্জ-কাণ্ডে পঙ্কজ দত্ত, দময়ন্তী সেন ও উপেন বিশ্বাসকে নিয়ে সিট গঠন হাইকোর্টের
Kaliaganj Case: পরিবার ও প্রতিবেশীরা দাবি করেন, কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের তদন্তে উঠে আসে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই কিশোরী।
কলকাতা: কালিয়াগঞ্জে কিশোরী খুনের মামলায় সিট গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, আদালতের নজরদারিতে হবে তদন্ত। বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (SIT) সেই ঘটনার তদন্ত করবে। সেই তদন্তকারী দলে থাকবেন রাজ্যের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত, আইপিএস দময়ন্তী সেন ও প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। সিট যদি প্রয়োজন মনে করে, তাহলে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে পারবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার ও প্রতিবেশীরা দাবি করেন, কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের তদন্তে উঠে আসে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই কিশোরী।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের তরফে ওই ঘটনার তদন্তের রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। রিপোর্টে দেখা যায়, ইনকোয়েস্ট বা সুরতেহাল হয়েছিল ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৫ টায়, আর ময়নাতদন্ত হয় সাড়ে ৩ টেয়। বিচারপতি মান্থা প্রশ্ন তোলেন, কেন ময়নাতদন্তের পর সুরতেহাল হল? সুরতেহাল ও ময়না তদন্তের সময়ের মধ্যে সন্দেহজনক পার্থক্য রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি মান্থা। রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের সময় পরিবারের লোক উপস্থিত ছিল না। পুলিশ নৃশংসভাবে দেহ টেনে নিয়ে গিয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন বিচারপতি।
পুলিশ আদালতে দাবি করে, রাজ্য তদন্তের ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা করেনি। আর ময়নাতদন্তের সময় নিয়েও কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি পুলিশ। তাই পরিবারকে ভরসা জোগাতেই এই সিট গঠন করা হচ্ছে বলে দাবি করেন বিচারপতি। এই মামলায় আগে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার আদালতের নজরদারিতে তদন্ত করবে সিট। সিআরপিসি অনুযায়ী, তদন্তের সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সিটকে। প্রয়োজনে নতুন অফিসার নিয়োগ করে তদন্ত করতে পারবে এই তদন্তকারী দল।
সিট গঠনের পর প্রাক্তন পুলিশ কর্তা পঙ্কজ দত্তকে নিয়ে তীব্র আপত্তি জানায় রাজ্য। অন্য কোনও অফিসারকে দেওয়ার দাবিও জানানো হয় রাজ্যের তরফে। বিচারপতি মন্তব্য করেন, সত্য সামনে আসা দরকার। হাইকোর্টের নির্দেশ, তদন্ত চলাকালীন বাইরে নিজেদের মত প্রকাশ করবেন না সিটের সদস্যরা। কেস ডায়রি ও অন্যান্য নথি সিটকে দেবে রাজ্য পুলিশ। তদন্তে সাহায্য করবে রাজ্য।
আগামী ২৮ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে পেশ করবে রাজ্য। পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।