Mamata Banerjee: পুলিশের নিয়োগে ‘ল্যাথার্জি ও ক্যাজুয়ালনেস’ দেখে অসন্তুষ্ট মমতা, ৩ মাসের মধ্যে সব নিয়োগ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ
Mamata Banerjee: পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গা-ছাড়া মনোভাব চলে এসেছে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'আগে যখন পুলিশে লোক নেওয়া হত, ৬ মাস প্রশিক্ষণ দিতে হত। হাজার হাজার নিয়োগের জন্য পড়ে রয়েছে। কিন্তু একটা ল্যাথার্জি ও ক্যাজুয়ালনেস চলে এসেছে - আজ করছি, কাল করছি।'
কলকাতা: নবান্ন সভাঘরে বৃহস্পতিবার দুপুরে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যে পলিটেকনিক কলেজ ও নার্সিং কলেজের সংখ্যা এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের সাফল্যের কথা তুলে ধরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে রাজ্যে কত যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হয়েছে, সেই কথাও নবান্নের বৈঠকে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই সময়েই পুলিশের নিয়োগ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
- পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গা-ছাড়া মনোভাব চলে এসেছে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘আগে যখন পুলিশে লোক নেওয়া হত, ৬ মাস প্রশিক্ষণ দিতে হত। হাজার হাজার নিয়োগের জন্য পড়ে রয়েছে। কিন্তু একটা ল্যাথার্জি ও ক্যাজুয়ালনেস চলে এসেছে – আজ করছি, কাল করছি। কারণ, যে নিয়োগ করছে তার কিছু যায়-আসে না। কিন্তু যে ছেলে-মেয়েগুলি পরীক্ষা দেন, তাঁরা তো আশায় থাকে চাকরিটা কবে হবে। আমি স্পষ্ট বলছি, তিন মাসের মধ্যে পুলিশের সব নিয়োগ শেষ করতে হবে।’
- এর পাশাপাশি পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাতেও কিছুটা পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘ এতদিন ৬ মাস ধরে, ৩ মাস ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। সেটা এখন সাতদিন প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর তাঁদের এক-একটি থানায় পাঠান। সেখানে ফোর্স বাড়ান। এরপর যখন ফিল্ড ট্রেনিং দেওয়া হবে, তখন সাতদিন করে অন্যান্য ট্রেনিং দেওয়া হোক। মাসের মধ্যে ২১ দিন ফিল্ডে কাজ করানো হোক এবং সাতদিন অন্যান্য বাকি ট্রেনিং করান।’
- নার্সিংয়ের প্রশিক্ষণ বিষয় নিয়েও এদিন নবান্নের বৈঠক থেকে বিশেষ পরামর্শ দেন মমতা। বললেন, স্যালাইন দেওয়া, ইঞ্জেকশন দেওয়া, অক্সিজেন দেওয়া বা ওষুধটা দেখে ঠিকমতো দেওয়া, তারজন্য প্রশিক্ষণ নিতে ১৫ দিন যথেষ্ট। নার্সরা তো আর অপারেশন করবে না। যাঁরা সিনিয়র নার্স, তাঁরা তো সেখানে আছেন। যাঁদের নতুন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, তাঁদের জুনিয়র নার্স হিসেবে বিবেচনা করা হোক, ট্রেনিং দেওয়া হোক।’
- চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও একটি ডিপ্লোমা কোর্স চালু করার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, অনেক হাসপাতাল হচ্ছে, যেখানে ডাক্তার নেই, নার্স নেই। ডাক্তারদের একটা ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা যায় কি না দেখো, ইঞ্জিনিয়ারদের মতো। তাহলে অনেক ছেলেমেয়ে ডাক্তারি ডিপ্লোমা কোর্সের সুযোগ পাবে। এতে পাঁচ বছর ধরে প্রশিক্ষণে আমরা যে অরিজিনাল ডাক্তার পাচ্ছি, তাদের অনেকটা সময় যাচ্ছে… পড়াশোনা করতে হচ্ছে, পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। কিন্তু যেহেতু হাসপাতাল বাড়ছে, লোকসংখ্যা বাড়ছে, বেড বাড়ছে… যদি সমান্তরালভাবে একটি ডিপ্লোমা কোর্স করে অন্তত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে কাজে লাগানো যায়, তাহলে মনে হল ভাল রেজাল্ট দেবে।’