SLST Protest: পুলিশের চিঠি, পুজো কার্নিভালের দিন ধর্নায় বসছেন না SLST আন্দোলনকারীরা

Job Seekers Protest: আগামিকাল গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এসএসএসটি চাকরিপ্রার্থীরা ধর্নায় না বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

SLST Protest: পুলিশের চিঠি, পুজো কার্নিভালের দিন ধর্নায় বসছেন না SLST আন্দোলনকারীরা
এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2022 | 7:16 PM

কলকাতা: শনিবার (আগামিকাল) শহরে পুজোর কার্নিভাল রয়েছে। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে যে ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন চলছে, সেখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই পুজোর কার্নিভাল। তাই তাঁদের আগামিকাল ধর্নায় না বসার জন্য পুলিশের তরফে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল। সেই নিয়ে বিজেপির তরফে রুদ্রনীল ঘোষ, ভারতী ঘোষরা সরকারকে একপ্রস্থ তুলোধনাও করেছিলেন এদিন বিকেলে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে এসে। তবে বর্তমানে সরকারের সঙ্গে কোনও বিরোধে যেতে চাইছেন না আন্দোলনকারীরা। তাই আগামিকাল গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এসএসএসটি চাকরিপ্রার্থীরা ধর্নায় না বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কার্নিভালের দিন কেন বিরতি?

আন্দোলনরত চাকরিপার্থী অভিষেক সেন জানিয়েছেন, “আগামিকাল গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এসএলএসটি ধর্না বসছে না। যেহেতু কার্নিভাল রয়েছে , আইন শৃঙ্খলার প্রশ্ন রয়েছে, হাই সিকিউরিটির বিষয়… তাই আগামিকাল ধর্নায় না বসার এই প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা মেনে নিচ্ছি। যথারীতি পরশু অর্থাৎ ৯ তারিখ থেকে আবার ধর্না চলবে, যতদিন নিয়োগপত্র না পাচ্ছি।”

এর আগেও একাধিকবার ছেদ

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও প্রশাসনিক বা সরকারি কর্মকাণ্ডের কারণে একাধিকবার ছেদ পড়েছে আন্দোলনে। বিশেষ করে ১৫ অগস্ট (স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে) কিংবা রেড রোডে যখনই কোনও অনুষ্ঠান থাকে, তখনই প্রশাসনের নির্দেশে বিরতি টানতে হয়েছে আন্দোলনে।

ধর্নায় একদিনের বিরতি, অনেকেই বাড়ি যাবেন বিজয়া করতে

আন্দোলনের আজ ৫৭২ দিন অতিক্রান্ত। গতবছরের মতো এইবারের পুজোটাও হকের চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসেই কেটেছে আন্দোলনরত এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের। পুজোর সময় বাড়ি যেতে পারেননি। কাল ধর্নায় বিরতি। একপ্রকার অনিচ্ছা নিয়েই বিরতি টানতে হচ্ছে পুলিশি নিষেধাজ্ঞায়। তাই ওদের অনেকেই কাল বাড়ি যাবেন। পুজোটা বাড়ির লোকেদের সময় দিতে না পারলেও, অনেকদিন পর বাড়ি যেতে পারছেন তাঁরা। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে, কাছের মানুষদের সঙ্গে খানিক সময় কাটাবেন। একদিকে যেমন তাঁদের ধর্নায় বসতে দিচ্ছে না পুলিশ, এটা যেমন তাঁদের কাছে কাঁটার মতো বিধঁছে… তেমনই অনেকদিন পর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাচ্ছেন তাঁরা।