Nabanna Abhijaan: নবান্ন অভিযানে বড় হিংসার ছক? সাংঘাতিক তথ্য পুলিশের হাতে…

Nabanna Abhijaan: এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকারের দাবি, এই অন্দোলনের একজন রবিবার শহরের পাঁচতারা হোটেলে এক নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন। কোন নেতার কথা বলছে পুলিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Nabanna Abhijaan: নবান্ন অভিযানে বড় হিংসার ছক? সাংঘাতিক তথ্য পুলিশের হাতে...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2024 | 2:46 PM

কলকাতা: আগামিকাল ২৭ অগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। এই কর্মসূচি ঘিরে বড়সড় আশঙ্কার কথা শোনাল পুলিশ। আর এই নবান্ন অভিযান বেআইনি বলে জানিয়ে দিলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজকুমার ভার্মা। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন মনোজকুমার ভার্মা, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। তিনি বলেন, “নবান্ন সংরক্ষিত এলাকা। এখানে সাধারণত কোনও কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া যায় না। ফলে আমরা মনে করি আইনগতভাবে এই কর্মসূচি বেআইনি। যারা এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে, তারা যদি অন্য কোথাও করত তাহলে আমাদের আপত্তি নেই।”

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

শাসকদলের মতোই ২৭-এর কর্মসূচি নিয়ে বড়সড় আশঙ্কা করছে পুলিশও। সাধারণ মানুষ ও মহিলাদের সামনে রেখে হামলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা। এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে একাধিক আশঙ্কার কথা শোনান পুলিশ কর্তারা। এডিজি আইনশৃঙ্খলার বক্তব্য, তাঁদের কাছে খবর আছে, একটা বড় সংখ্যক চাইছে এখানে গন্ডগোল হোক। এমন উস্কানি তৈরি করা হবে যাতে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে। যেটার ফায়দা তুলবে মিছিলের আহ্বায়করা। মনোজ ভার্মা বলেন, পুলিশের কাছে যা খবর, সেইমতো কাজও করছে। তবে বিস্তারিত এখন জানানো হবে না।

এই খবরটিও পড়ুন

এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকারের দাবি, এই অন্দোলনের একজন রবিবার শহরের পাঁচতারা হোটেলে এক নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন। কোন নেতার কথা বলছে পুলিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এদিন সুপ্রতিম সরকার বলেব, “আমাদের কাছে বিশ্বস্ত সূত্রে বেশ কিছু তথ্য এসেছে। সেই তথ্যের অন্যতম একটি হল এই যে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তরফে একজন গতকাল শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে এক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন। সে ব্যাপারে আমরা তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করছি। সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে আগামিকাল কিছু দুষ্কৃতী ব্যাপক গন্ডগোল, অশান্তি, হিংসা এবং বিশৃঙ্খলা ছড়াতে পারে বলেও খবর পেয়েছি। আমরা এটাও জেনেছি ভিড়ের সামনে মূলত মহিলা ও ছাত্রছাত্রীদের রাখা হবে। পিছন থেকে গোলমাল পাকানো হবে। এমন পরিস্থিতি করবে যাতে পুলিশ বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয়।”

এই কর্মসূচির আহ্বায়কদের নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়া আপাতত তা নিয়ে সরগরম। পুলিশেরও একাধিক প্রশ্ন আছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অর্থাৎ দেশের যে নয়া আইনবিধি তাতে ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে। আগের ১৪৪ ধারার সমতুল। পুলিশ কর্তারা জানাচ্ছেন, নবান্ন রাজ্যের প্রধান সচিবালয়। এখানে পাঁচজনের বেশি মানুষের উপস্থিতি বেআইনি। সেটি আয়োজকদের বলাও হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনও উত্তর দেয়নি।

এই নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গ সুপ্রিম কোর্টেও উত্থাপিত হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আরজি করকাণ্ডের প্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে আইন বিরুদ্ধ কোনও কাজে পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, এমন নির্দেশ কিন্তু নেই। পুলিশও আইন মেনে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সোমবার সকালেই সাংবাদিক সম্মেলন করে কুণাল ঘোষ, জয়প্রকাশ মজুমদাররা। জয়প্রকাশ বলেন, “পুলিশের ছদ্মবেশে গুলি চালাতে পারে। নিজেদের লোককে মারতে পারে।” ওদিকে আবার শুভেন্দু অধিকারী শুনিয়ে রেখেছেন, “ছাত্রসমাজ অভিযান ডেকেছে। আমি বলেছি, যদি হয়, নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম পাই, নাগরিক হিসাবে…ওরা তো প্রত্যেক বাড়ি থেকে একজনকে চেয়েছে। আমারও অধিকার আছে আমার বাড়ি থেকে যাওয়ার।” ডিএ-এর দাবিতে আন্দোলনকারী সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও নবান্ন অভিযানে শামিল হবে। ফলে আগামিকালের নবান্ন অভিযান ঘিরে রাজনীতির পারদও যে চড়ছে, তা বলাই বাহুল্য।