Sougata-Jawhar: ‘লোকে তো স্বার্থপর বলবে’, জহরকে তৃণমূল ছাড়ার ‘পরামর্শ’ সৌগতর

Sougata Roy: জহর সরকারকে আক্রমণের সুরে সৌগত রায় বলেন, "আপনি একটি দলের দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। দল আপনাকে কিছু দিয়েছে। তার বিনিময়ে তো অন্তত দলের হয়ে দাঁড়ানোর দায়িত্ব আপনার আছে। যদি না দাঁড়াতে চান, তাহলে দলও ছেড়ে দিন, আপনার পদও ছেড়ে দিন।"

Sougata-Jawhar: 'লোকে তো স্বার্থপর বলবে', জহরকে তৃণমূল ছাড়ার 'পরামর্শ' সৌগতর
সৌগতর নিশানায় জহর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2022 | 4:02 PM

কলকাতা : সম্প্রতি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারের মন্তব্য বেশ বিড়ম্বনায় ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। প্রাক্তন আমলা তথা তৃণমূল সাংসদ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, “এক সাইড পচা শরীর নিয়ে ২০২৪ সালে লড়াই করা মুশকিল।” জহর বাবুর এমন মন্তব্যের জেরে এবার তাঁকে তৃণমূল ছাড়ার পরামর্শ দিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। শুধু তাই নয়, জহর বাবুকে ‘আত্মকেন্দ্রিক আমলা সমাজের প্রতিনিধি’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। জহর বাবুর মন্তব্যকে কীভাবে দেখছেন সৌগত রায়? সেই প্রসঙ্গে টিভি নাইন বাংলার প্রশ্নের উত্তরে বর্ষীয়ান নেতা বলেন, “আমি খারাপভাবে দেখছি। জহর বাবুরা তো নাগরিক সমাজের লোক নন। তিনি আমলা সমাজের লোক। এদের একটি আলাদা চরিত্র রয়েছে। এরা আত্মকেন্দ্রিক এবং স্বার্থপর হন সাধারণত। কারও ভুল করেও উপকার করেন না। ক্ষমতায় থাকলে নিজেদের হুকুম চালান।”

জহর বাবুর এ হেন মন্তব্যে যে বেজায় চটে রয়েছেন সৌগত রায়, তা বোঝাতে কোনও খামতি রাখেননি লোকসভার তৃণমূল সাংসদ। বলেন, “জহর বাবু আমাদের দলের বিবেক হবেন কীভাবে? উনি তো কোনওদিন তৃণমূল কংগ্রেস করেননি। কোনওদিন মিছিলে হাঁটেননি, কারও পাশে দাঁড়াননি।” এরপরই টিভি নাইন বাংলার তরফে সৌগত বাবুকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাহলে এমন আমলাদের দলে নেওয়া হয় কেন? জবাবে সৌগত রায় বলেন, “একটা অনেকের ইমপ্রেসন… সারা ভারতে এই জিনিসটা হয়।” প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি (জহর সরকার) কি দলের অব্যক্ত কথা প্রকাশ করছেন, নাকি দলকে অস্বস্তিতে ফেলছেন? জবাবে সৌগত রায় বলেন, “দলকে অস্বস্তিতে ফেলছেন। একেবারেই কোনও অব্যক্ত কথা নয়। অব্যক্ত কথা হলে দলই তো বলবে সে কথা। সেটা একা জহর সরকার বলবেন কেন? এটার মধ্যে আমি একটি গভীর স্বার্থপরতা দেখতে পাই।”

তিনি আরও বলেন, “কোনও আমলার তো তেমন সামাজিক ভাবমূর্তি থাকে না। রাজনীতিতে এলে একটি বড় লার্জার দ্যান লাইফ ভাবমূর্তি হয়। সেই ভাবমূর্তিকে উনি ঝেড়ে-ঝুড়ে নিচ্ছেন। তথাকথিত উচ্চশ্রেণির বুদ্ধিজীবীরা সবসময় এই ধরনের একটি অবস্থান নেন। এটাকে বলে সুবিধাবাদী অবস্থান। আপনি একটি দলের দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। দল আপনাকে কিছু দিয়েছে। তার বিনিময়ে তো অন্তত দলের হয়ে দাঁড়ানোর দায়িত্ব আপনার আছে। যদি না দাঁড়াতে চান, তাহলে দলও ছেড়ে দিন, আপনার পদও ছেড়ে দিন।”

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারের উদ্দেশে সৌগত বাবুর বার্তা, “নৈতিকতা দেখান। ছেড়ে দিন। আপনার বিবেকে এত লাগছে। আপনার বাড়ির লোক, আপনার সামাজিক বন্ধুরা আপনাকে বলছেন… ছেড়ে দিন। এই তৃণমূলের একটি রাজ্যসভার পদ ধরে রেখেছেন কেন? লোকে তো আপনাকে স্বার্থপর বলবে।”