Rajarhat Physical Harassment: আমন্ত্রিত না হয়েও সেই রাতে জন্মদিন পার্টিতে কী করছিলেন নির্যাতিতা? প্রশ্ন উঠছে রাজারহাট গণধর্ষণকাণ্ডে
Rajarhat Police station: গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে একজনের ভূমিকা খতিয়ে দিচ্ছে গোয়েন্দা শাখার তদন্তকারী আধিকারিকরা। কারণ তাঁর বান্ধবীরই বান্ধবী ছিলেন এই নির্যাতিতা।
কলকাতা: রাজারহাটের অভিজাত রিসর্টে গণধর্ষণকাণ্ডে রবিবার শারীরিক চিকিৎসা করানো হল ধৃতদের। তবে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হয়েছে তদন্তকারীদের এমনটাই সূত্রের খবর। কারণ যেদিন গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল তারপরের দিন ওই একই জায়গায় অন্য একটি জন্মদিন পার্টি চলছিল। সেক্ষেত্রে সেই ঘরটির পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মেলেনি বলে খবর।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে একজনের ভূমিকা খতিয়ে দিচ্ছে গোয়েন্দা শাখার তদন্তকারী আধিকারিকরা। কারণ তাঁর বান্ধবীরই বান্ধবী ছিলেন এই নির্যাতিতা। পাশাপাশি এও প্রশ্নে উঠে আসছে, জন্মদিনের ওই অনুষ্ঠানে কোনও আমন্ত্রণই ছিল না নির্যাতিতার। সেক্ষেত্রে কেন তিনি সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন বা তাঁকে যাওয়ার কথা কে বলেছিল? সেই বিষয়ও তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, সংজ্ঞাহীন করার জন্য মাদকের সঙ্গে কী মেশানো হয়েছিল, কোথা থেকেই বা তা কেনা হয়েছিল? সমস্ত বিষয়ের তথ্য পেতে মরিয়া গোয়েন্দা শাখার তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর রাজারহাটের ওই অভিজাত রিসোর্টে জন্মদিনের পার্টির জন্য ১০-১৫ জনের একটি দল উপস্থিত ছিল। অভিযোগ উঠছে, ওই পার্টিতে যুবতীকে মাদক খাইয়ে সংজ্ঞাহীন করে দিয়েছিল অভিযুক্ত যুবকরা। এরপরই চলে পাশবিক অত্যাচার। একাধিকবার ওই যুবতীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ, ১০ নভেম্বর নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা রাজারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ এবং কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওই চার অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার ধৃত অভিযুক্তদের বারাসত আদালতে পেশ করা হয়।
ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ওই অভিজাত রিসর্টের কর্তপক্ষের ভূমিকা নিয়েও। ঘটনার পর পুলিশ যখন তদন্ত শুরু করে তখন রাজারহাট থানার পুলিশকর্মীদের অভিযুক্তদের বিষয়ে কোনওরকম তথ্য দিতে পারেনি ওই রিসর্ট কর্তৃপক্ষ। সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। এদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে ওই রিসর্টের একটি ঘর সিল করে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (২) (জি) ধারায় গণধর্ষণের অভিযোগ এবং ৩২৮ ধারায় মাদক মিশিয়ে সংজ্ঞাহীন করার অভিযোগ মামলা রুজু করা হয়েছে।