Ticket Black Market: টিকিট বিতর্কের মধ্যেই BCCI-এর ই-মেল এল পুলিশের কাছে, কী বলল বোর্ড
Kolkata Police: পুলিশের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকেও। সেই চিঠির পর এবার পুলিশের থেকে এফআইআর কপি চেয়ে ইমেল পাঠিয়েছে বিসিসিআই। সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, অনলাইন টিকিট বিক্রয়কারী সংস্থাও তথ্য দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছে পুলিশের কাছে।
কলকাতা: ইডেনে প্রোটিয়াদের দুরমুশ করে বিশ্বকাপের লিগ টেবিলে শীর্ষস্থান পাকা করে নিয়েছেন রোহিত-বিরাটরা। রবিবার ইডেনের মহারণ দেখতে গ্যালারি উপচে পড়েছিল ভিড়। কানায় কানায় ভরে গিয়েছিল ক্রিকেটের নন্দনকানন। ইডেন ম্যাচ মিটে গেলেও, টিকিটের কালোবাজারির অভিযোগে তদন্ত এখনও চলছে। আসরে নেমেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারাও। ময়দান থানায় ইতিমধ্যেই হাজিরা দিয়েছেন অনলাইন টিকিট বিক্রয়কারী সংস্থার অফিসাররাও। নোটিস পেয়ে সিএবি-র প্রতিনিধিরাও থানায় গিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করছেন। পুলিশের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকেও। সেই চিঠির পর এবার পুলিশের থেকে এফআইআর কপি চেয়ে ইমেল পাঠিয়েছে বিসিসিআই। সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, অনলাইন টিকিট বিক্রয়কারী সংস্থাও তথ্য দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছে পুলিশের কাছে।
ইডেনে ভারত – দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ ঘিরে কলকাতা তথা গোটা বাংলার সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। আর একইসঙ্গে ছিল টিকিটের জন্য হাহাকার। পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল কালোবাজারির দৌরাত্ম্য। যে যেমন পারছিল, টিকিটের দর হাঁকছিল। ৯০০ টাকা দামের টিকিটের দর কোথাও উঠেছে ৮ হাজার টাকা, তো কোথাও আবার আরও বেশি। টিকিট না পেয়ে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে ক্ষোভও বাড়ছিল।
এসবের মধ্যেই কলকাতা পুলিশের ময়দান থানায় লিখিত অভিযোগ জানান শহরের এক ক্রিকেটপ্রেমী। অভিযোগ, অনলাইনে টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে চূড়ান্ত অস্বচ্ছতা এবং তা থেকেই কালাবাজারির বাড়বাড়ন্ত। সেই অভিযোগ পেতেই তড়িঘড়ি আসরে নামে পুলিশ। সিএবি ও অনলাইন টিকিট বিক্রয়কারী সংস্থার অফিসারদের ইতিমধ্যেই ময়দান থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যদিও সিএবি-র যুক্তি, টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে তাঁদের কোনও যোগ নেই। অনলাইন টিকিট বিক্রয়কারী সংস্থার সম্পর্ক বিসিসিআই-এর সঙ্গে বলেই যুক্তি ছিল সিএবির।