Nawsad Siddiqui: একুশে ‘হামাগুড়ি’ দেওয়া ISF তেইশে হাঁটছে, চব্বিশে CPM-এর হাত ধরবে?
Nawsad Siddiqui: সূত্রের খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে ১৯টি আসনে প্রার্থী দিতে চাইছে আইএসএফ। জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, বসিরহাট-সহ এমন ১৯টি আসনকে টার্গেট করে নিয়েছেন নওশাদরা। সূত্রের দাবি, অন্তত ৮-১০টি আসন না পেলে একলা চলো নীতিতেই এগবে আইএসএফ।
কলকাতা: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। লোকসভার দামামা ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে বাংলায়। চলছে রাজনীতির ঘুঁটি সাজানোর পালা। লোকসভাকে নীলনকশা বানাতে শুরু করে দিয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকীরাও। ইতিমধ্যেই নওশাদ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ডায়মন্ড হারবার থেকে লোকসভা ভোটে লড়তে চান। কিন্তু একুশের নির্বাচনের মতো কোনও আসন সমঝোতা কি এবারও দেখা যাবে? সূত্রের খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে ১৯টি আসনে প্রার্থী দিতে চাইছে আইএসএফ। জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, বসিরহাট-সহ এমন ১৯টি আসনকে টার্গেট করে নিয়েছেন নওশাদরা। সূত্রের দাবি, অন্তত ৮-১০টি আসন না পেলে একলা চলো নীতিতেই এগবে আইএসএফ।
উল্লেখ্য, নওশাদ ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হলে তাঁকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামেরা। কিন্তু বাকি আসনগুলি? সেগুলি নিয়েও কি একই পথে হাঁটবে বামেরা? শুধু তো বামেরাই নয়, কংগ্রেসও আবার রয়েছে। তারাই বা কি ভাবছে? শেষ পর্যন্ত আসন নিয়ে রফা কি সম্ভব হবে? এই সব নিয়েই এখন জোর চর্চা চলছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরমহলে।
আইএসএফ শিবির থেকে দাবি করা হচ্ছে, বাংলায় তাদের পায়ের তলার মাটি এখন অনেকটা মজবুত হয়েছে। সেক্ষেত্রে সাংগঠনিক দিক থেকে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগচ্ছেন নওশাদরা। তার আগে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যতটা বেশি সম্ভব ভোট নিজেদের ঝুলিতে ভরতে চাইছে আইএসএফ। এমন অবস্থায় তাই আপস সমঝোতায় কোনও আপস করতে চাইছে না আইএসএফ।
বামেরা ডায়মন্ড হারবারে নওশাদকে সমর্থন করার বার্তা দিলেও, আসন নিয়ে নিজেদের দাবিতে অনড় আইএসএফ। নওশাদও বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি নিজের জন্য রাজনীতি করেন না। আইএসএফ বিধায়কের বক্তব্য, “যেখানে আমাদের সংগঠন মজবুত, সেই আসনগুলিতেই আমরা প্রার্থী দেব। হাসির খোরাক হবে, এমন কাজ আমরা করব না। যেখানে যেখানে তৃণমূল ও বিজেপিকে লড়াই দিতে পারব, সেই জায়গাগুলিতেই প্রার্থী দেব।”
যদিও সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, বিষয়টি নিয়ে আগে দলীয় স্তরে ও বামফ্রন্ট স্তরে আলোচনা হবে। তারপর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। যদিও নওশাদের ডায়মন্ড হারবারে ভোটে দাঁড়ানোর প্রসঙ্গে সমর্থনের বার্তাও দিয়েছেন তিনি। সেলিমের বক্তব্য, ‘মানুষ চাইলে তাই-ই হবে।’ নওশাদের নাম না করলেও ডায়মন্ড হারবারে আইএসএফের কেউ প্রার্থী হবে তৃণমূল যে চাপে পড়তে পারে, সে কথা মানছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও।