Krishna Kalyani: মুকুল রায়ের মতো কৃষ্ণ কল্যাণীও বিজেপির সদস্য, বললেন স্পিকার

Krishna Kalyani: পিএসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে কৃষ্ণ কল্যাণীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

Krishna Kalyani: মুকুল রায়ের মতো কৃষ্ণ কল্যাণীও বিজেপির সদস্য, বললেন স্পিকার
আর এক বিধায়ককে নিয়েও একই বিতর্ক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 29, 2022 | 3:52 PM

কলকাতা: মুকুল রায় পিএসি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই তাঁর দলবদল নিয়ে সরব হয়েছিলল বিরোধীরা। তিনি তৃণমূলে নাকি বিজেপিতে? এই নিয়ে চলে দীর্ঘ শুনানি। পরে সেই শুনানি শেষে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, বিজেপিতেই আছেন মুকুল রায়। আর এবার রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিয়ে একই মন্তব্য করলেন স্পিকার। পিএসি চেয়ারম্যান পদ থেকে মুকুল রায় পদত্যাগ করার পর ওই পদ কৃষ্ণ কল্যাণীকে দেওয়া হবে বলেই শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্পিকার দাবি করলেন, খাতায় কলমে এখনও বিজেপির সদস্য কৃষ্ণ কল্যাণী।

ইতিমধ্যেই পিএসি বা পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সদস্য করা হয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণীকে। তবে কী পদ্ধতি মেনে সদস্য করা হয়, তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে চাননি বিধানসভার অধ্যক্ষ। বুধবার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, খাতায় কলমে উনি বিজেপির সদস্য, উনি বাইরে কী করলেন, তা তাঁদের দেখার বিষয় নয়। তিনি জানিয়েছেন, শূন্যপদের জন্য একজনকে নির্বাচন করা হয়েছে। আইন মেনেই সেটা করা হয়েছে। স্পষ্টভাবে তিনি বলেন, ‘কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপির সদস্য। বাইরে কী করেছেন, সেটা আমার বিষয় নয়। আমার কাছে কোনও তথ্য প্রমাণ আসেনি যে তিনি অন্য কোনও দলে যোগ দিয়েছেন।’

তবে কাকে চেয়ারম্যান করা হবে, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি স্পিকার। তিনি বলেন, ‘কাকে চেয়ারম্যান করব না করব, সেটা আমার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। যথা সময়ে চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হবে।’

উল্লেখ্য, মুকুল রায়ের দলত্যাগ সংক্রান্ত মামলার যে শুনানি হয়েছিল বিধানসভায়, তাতে দু বারই বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর রায়ে জানিয়েছিলেন, মুকুল বাবু বিজেপিতেই রয়েছেন। আর এ ক্ষেত্রে কৃষ্ণ কল্যাণীর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ নিয়ে শুনানি চলছে। ২০২১-এর অক্টোবরে তৃণমূলে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। এরপর শুরু হয় দলত্যাগ সংক্রান্ত মামলা। এবার তাঁকেই পিএসির নতুন চেয়ারম্যান করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। বিরোধীরা বরাবর দাবি করেছেন, পরম্পরা অনুযায়ী, বিধানসভার এই পদ বিরোধী দলের বিধায়কদেরই দেওয়া হয়।