Haridebpur Electrocution: হরিদেবপুরে ফরেন্সিক দল, খতিয়ে দেখল এলাকার বাতিস্তম্ভগুলি

Haridebpur: হরিদেবপুরকাণ্ডের পর কলকাতা পুরনিগমের আলো বিভাগের এক সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

Haridebpur Electrocution: হরিদেবপুরে ফরেন্সিক দল, খতিয়ে দেখল এলাকার বাতিস্তম্ভগুলি
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 29, 2022 | 3:20 PM

কলকাতা: হরিদেবপুরে কিশোর মৃত্যুর ঘটনায় ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল। যে বিদ্যুতের পোস্টে হাত দিয়ে নীতীশ যাদব নামে ১২ বছরের কিশোরের মৃত্যু হয়, তা পরীক্ষা করলেন ফরেন্সিক দলের সদস্যরা। কোথা থেকে এবং কত দূর এই পোস্টের বিদ্যুৎ সংযোগ গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখেন ফরেন্সিক সদস্যরা। শুধুমাত্র ওই পোস্টই নয়, আশেপাশের লাইট পোস্টগুলির বিদ্যুৎসংযোগ মাটির নীচ দিয়ে গিয়েছে নাকি মাটির উপর দিয়ে, তাও খতিয়ে দেখেন বিশেষজ্ঞরা। প্রায় ৪০ মিনিট এই পর্যবেক্ষণপর্ব চলে। হরিদেবপুরকাণ্ডের পর কলকাতা পুরনিগমের আলো বিভাগের এক সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কলকাতা পুরনিগমের কমিশনার বিনোদ কুমার তাঁকে সাসপেন্ড করেন। আলো বিভাগের ডিজি সঞ্জয় ভৌমিকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার।

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বারবার বলা সত্ত্বেও বহু আধিকারিক বিষয়গুলি নিয়ে খুবই ক্যাজুয়াল। একটা অ্যাকশন না নিলে এই ক্যাজুয়ালনেসটা যাবে না। আসি যাই মাইনে পাই, সেই যুগটা চলে গিয়েছে। আমরা চাইছি বাংলায় কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে। যেটা ৩৪ বছরে আমাদের মধ্যে থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল।” গত রবিবার হরিদেবপুর থানা এলাকার ৩৪/বি হাফিজ মহম্মদ ইশাক রোডের বাসিন্দা নীতীশ যাদব তড়িদাহত হয়ে মারা যায়। সেদিন সন্ধ্যায় গৃহশিক্ষিকার বাড়িতে প্রসাদ দিতে যাচ্ছিল সে। এদিকে বাড়ির সামনে রাস্তায় হাঁটু অবধি জল জমে। সেই জলেই কিছু একটা পায়ে লাগে তার। রাস্তার ধারে থাকা বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দিয়ে পা দেখতে যেতেই ঘটে বিপত্তি। তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় কিশোরের।

এই ঘটনার পরই পুরনিগমে বৈঠকে বসেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। সেখানে তিনি কার্যত মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। নিকাশি বিভাগ এবং আলো বিভাগ তাঁর নির্দেশের যথাযথ বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ বলে কার্যত পুর আধিকারিকদের ভর্ৎসনা করেন তিনি। সিইএসসির বাতিস্তম্ভ এবং মিটার বক্সগুলির বেহাল দশা নিয়েও এদিন বিরক্তি প্রকাশ করেন মেয়র। বৈঠকে সরাসরি পুরসভার আধিকারিকদের বলেন, এক থেকে দেড় মাস তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। নির্দেশ মতো কাজ না হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজনে পদ থেকে সরতে হবে আধিকারিকদের, সে বার্তাও দেন।