SSC Recruitment Case: ববিতাকে তিনদিনের মধ্যে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের, অঙ্কিতার প্রাপ্ত বেতনের টাকাও দিতে হবে তাঁকে

SSC Recruitment Case: রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন ববিতা সরকারই। সেই ববিতাকেই নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।

SSC Recruitment Case: ববিতাকে তিনদিনের মধ্যে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের, অঙ্কিতার প্রাপ্ত বেতনের টাকাও দিতে হবে তাঁকে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 24, 2022 | 3:42 PM

কলকাতা : পরীক্ষা না দিয়েই চাকরি পেয়েছেন মন্ত্রীর মেয়ে। অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি প্রার্থী ববিতা সরকার। সেই মামলাকারীকেই এবার দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিন দিনের মধ্যে ববিতাকে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অঙ্কিতা অধিকারী যে স্কুলে চাকরি করতেন, সেখানেই ববিতাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছেন বিচারপতি। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশ, পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে যে প্রাপ্ত বেতন ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই টাকাও দিতে হবে ববিতাকে।

তিনদিনের মধ্যে চাকরি… ১০ দিনের মধ্যে বেতন

শুক্রবার আদালতে ছিল স্কুল সার্ভিসের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। সেই শুনানিতেই বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, কমিশনের সুপারিশে তিন দিনের মধ্যে ববিতা সরকারকে চাকরি দিতে হবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্কুলে নিযুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশে অঙ্কিতা এতদিন ধরে পাওয়া বেতনের টাকা ফেরত দিচ্ছেন। ১০ দিনের মধ্যে সেই টাকাও ববিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

এ দিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ববিতাকে কি চাকরি দেওয়া হয়েছে? কতদিন ববিতা অপেক্ষা করবেন? মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী তরফে জানানো হয়, এখনও দেওয়া হয়নি নয়। এরপরই বিচারপতি দ্রুত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন। বিচারপতির দাবি, অঙ্কিতার জায়গায় ববিতারই ওই স্কুলে চাকরি হওয়ার কথা ছিল, তাই ৪১ মাস ধরে অঙ্কিতা যে টাকা পেয়েছেন, তা ববিতারই পাওয়ার কথা।

ইন্টারভিউ দেননি অঙ্কিতা… স্বীকার করল বোর্ড

এ দিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী সুতনু পাত্র জানান, বোর্ডের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন অঙ্কিতা কোনও ইন্টারভিউ দেননি। এই প্রথমবার এ কথা আদালতে স্বীকার করল বোর্ড। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি এ দিন বলেন, ‘অঙ্কিতা অধিকারী প্রচণ্ড বেআইনি কাজ করেছেন। কোনও টাকার অধিকারী নন তিনি। স্কুলে পড়ানোও বেআইনি। অঙ্কিতার পার্সোনালিটি টেস্টের পরীক্ষা হলে দেখা যাবে সেটাও আরেকটা স্ক্যাম।’ পার্সোনালিটি টেস্ট না দিয়ে অঙ্কিতা চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ববিতা।

এ দিকে, নবম- দশম নিয়োগের প্যানেলভুক্ত ও ওয়েটিং লিস্টে থাকা পরীক্ষার্থীদের আবেদন পত্র, নাম ও প্রাপ্ত নম্বর ২০ মে জমা দেওয়ার কথা ছিল। যদিও তা জমা দেওয়া হয়নি। ফের তা জমা দিতে বলা হল ১৫ জুলাই- এর মধ্যে। সিবিআইকে সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে বোর্ডকে।

উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে মন্ত্রী-কন্যা অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে আগেই। সূত্রের খবর, সাত লক্ষ ৯৪ হাজারের বেশি টাকা জমাও দিয়ে দিয়েছেন অঙ্কিতা। হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেলের ওই টকা জমা দিয়েছেন তিনি।

২০১৭ সালের নভেম্বরে নিয়োগের দ্বিতীয় তালিকা বেরতেই সবাইকে টপকে একেবারে শীর্ষস্থানে উঠে যান অঙ্কিতা। ফলে আগের তালিকায় ২০ নম্বরে নাম থাকা ববিতা সরকার চলে আসেন ২১ নম্বরে। চাকরি পাননা তিনি।